জখম: রোগীদের সঙ্গে চিকিৎসক সুজিতবাবু। —নিজস্ব চিত্র।
গোয়ালপোখরে হাসপাতাল বলতে এক মাত্র লোধন ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। রোগীর চাপ তাই অনেক বেশি। কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় চিকিৎসক নেই। তাই পা ভেঙে যাওয়ার পরেও ছুটি চেয়ে ছুটি পেলেন না স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক সুজিত সরকার।
মঙ্গলবার পায়ে প্লাস্টার নিয়ে ক্রাচে ভর করেই সারাদিনই কাজ করলেন সুজিতবাবু। তাঁর ছুটি না পাওয়ায় চিকিৎসক মহলেও তীব্র ক্ষোভ জন্মেছে। উত্তর দিনাজপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রকাশ মৃধা বলেন, ‘‘চিকিৎসকের পা ভেঙেছে। তাঁর ছুটি প্রাপ্য। এ ব্যাপারে যা করার ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক দায়িত্বে রয়েছেন, উনিই করবেন।’’
সম্প্রতি নিজের বাড়িতেই পায়ে চোট পান সুজিতবাবু। প্রথমে বুঝতে না পারলেও প্রায় দশ দিন হয়ে যাওয়ার পরও পায়ের ব্যথা না কমায় তিনি পরীক্ষা করিয়ে জানতে পারেন তার পায়ের হাড় ভেঙে গিয়েছে। সুজিতবাবুর পায়ে প্লাস্টার করার পাশাপাশি অস্থিরোগ বিশেষজ্ঞ তাঁকে এক মাস বিশ্রাম নেওয়ারও পরামর্শ দেন। সুজিতবাবুর কথায়, লোধন ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তিনি বিষয়টি জানালে চিকিৎসকের অভাবের কারণে তাঁর ছুটি মঞ্জুর হয়নি। অগত্যা ক্রাচে ভর করেই বহির্বিভাগ থেকে জরুরি বিভাগ সামলান তিনি।
স্বাস্থ্যকেন্দ্র সূত্রে খবর, হাসপাতালে প্রতিদিনই কয়েক শতাধিক লোক চিকিৎসা করাতে আসেন। এমনকি মাসে প্রসবের সংখ্যাও অনেক। দু’জন চিকিৎসক প্রয়োজন থাকলেও নেই।
কিন্তু পা ভেঙে যাওয়ার পরেও কাজ করতে হওয়ায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক খুরসেদ জাহান অবশ্য বলেন, ‘‘চিকিৎসকের অভাব রয়েছে। রোগীর চাপও অনেকটাই বেশি। সেই কারণে ছুটি দেওয়া সম্ভব হয়নি। জেলা মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিককেও চিকিৎসকের অভাবের কথা জানানো হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy