শিলিগুড়িতে সবর্দল বৈঠক। সোমবার তোলা নিজস্ব চিত্র।
পোলিং এজেন্টের নাম জমা দেওয়া নিয়ে বিরোধী দলের আপত্তি মেনে নিল শিলিগুড়ি মহকুমা প্রশাসন।
মঙ্গলবার শিলিগুড়ির মহকুমা পরিষদের সভা ঘরে সবর্দল বৈঠকে প্রশাসনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, পোলিং এজেন্টের নাম আগে থেকে না জানালেও কোনও সমস্যা হবে না। ভোটের দিন সকালেই নাম জানালে কমিশনের তরফে সংশ্লিষ্ট এজেন্টকে পরিচয় পত্র দেওয়া হবে। গত সোমবার প্রার্থীদের প্রশিক্ষণের সময়, প্রশাসনের তরফে জানানো হয়, ভোটের অন্তত আট দিন আগে এজেন্টদের নাম জানাতে হবে। যদিও, বিরোধীরা অভিযোগ তোলে, আগে থেকে এজেন্টদের নাম জানালে, তাঁদের হুমকি, হামলার মুখে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ দিনের সবর্দল বৈঠকেও এ বিষয়ে আপত্তি তোলে বিরোধী দলগুলি। প্রশাসনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, পোলিং এজেন্টদের নাম আগে থেকে না জানালেও সমস্যা নেই। প্রশাসন সূত্রে অবশ্য জানানো হয়েছে, এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কমিশনের তরফেই জানানো হবে।
শিলিগুড়ির ভোটের রিটার্নিং অফিসার তথা মহকুমাশাসক দীপাপ প্রিয়া বলেন, ‘‘বৈঠকে বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরবর্তীতে লিখিত ভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে। গণনা কেন্দ্রও চূড়ান্ত করে ফেলা হয়েছে।’’
পরীক্ষার কারণে এ বার শিলিগুড়ি কলেজে ভোট গণনা এবং ইভিএম বিলি বণ্টনের কাজে ব্যবহার করা যাবে না বলে আগেই প্রশাসনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বিকল্প হিসেবে প্রথমে শিলিগুড়ি বয়েজ স্কুলকে চিহ্নিত করলেও, পুলিশের তরফে আপত্তি জানানো হয়। স্কুলের সামনের রাস্তা অপ্রশস্ত থাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে পুলিশের তরফে দাবি করা হয়। এর পরেই শিলিগুড়ির মার্গারেট স্কুলে পরিদর্শন করেন প্রশাসনের আধিকারিকরা। পুরভোটের পযবেক্ষকরাও মার্গারেট স্কুলকে গণনা কেন্দ্র করা যাবে বলে প্রশাসনের আধিকারিকদের জানিয়ে দেন। এ দিনের সবর্দল বৈঠকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারাও সেই প্রস্তাব মেনে নেওয়ায়, মার্গারেট স্কুলেই ইভিএম বিলি বণ্টন এবং গণনা কেন্দ্র করা হবে বলে সরকারি ভাবে ঘোষণা করে দেওয়া হয়। প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, মার্গারেট স্কুলে একটি ভোটকেন্দ্রও হয়। তাতে অবশ্য কোনও সমস্যা হবে না বলেই জানানো হয়েছে।
ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা বাড়ানোর দাবিও উঠেছে এ দিনের বৈঠকে। প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, কমিশনের নির্দেশে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে দু’জন সশস্ত্র পুলিশ কর্মী থাকবেন। ভোট কেন্দ্রের ভিতরে তগুলি ঘে ভোট নেওয়া হবে, সেখানে লাইন ঠিক করার জন্য ঘরপিছু একজন করে লাঠিধারী পুলিশ কর্মী মোতায়েন থাকবে। যে সব ভোটকেন্দ্রে চারটির বেশি বুথ অর্থাৎ চারটির বেশি ঘরে ভোট নেওয়া হবে, সেখানে অতিরিক্ত একজন এসআইকে মোতায়েন করা হবে। বিরোধী বাম-বিজেপি এবং কংগ্রেসের তরফে ভোট কেন্দ্রে নিরাপত্তা বাড়ানোর দাবি তোলা হয়। প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, এ বিষয়ে কমিশনকে জানানো হবে।
এ দিনের সবর্দল বৈঠকে পোলিং এজেন্টদের বুকে প্রার্থীর নাম লেখা ব্যাজ লাগানো যাবে কিনা তা নিয়ে বাম এবং তৃণমূল প্রতিনিধিদের মধ্যে বচসা হয়। বামেদের দাবি, প্রার্থীর নাম লেখা ব্যাজ লাগানো নিয়ে কমিশনের কোনও বারণ নেই। অন্যদিকে, তৃণমূলের প্রতিনিধিরা দাবি করেন, যেহেতু ভোটকেন্দ্রের দু’শো মিটারের মধ্যে প্রার্থীর নাম বা দলের প্রতীক চিহ্ন-সহ পোস্টার, ব্যানার লাগানো নিয়ে কমিশনের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, সে কারণে পোলিং এজেন্টের বুকেও প্রার্থীর নাম লেখা ব্যাজ লাগানো যাবে না। এ বিষয়ে কমিশনের কাছে কী করণীয় তা জানতে চাওয়া হবে বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে।
লোকসভা ভোটের মতোই স্পর্শকারত ভোট কেন্দ্রগুলিতে ওয়েব কাস্টিং তথা ভোট গ্রহণের সরাসরি সম্প্রচারের ব্যবস্থা থাকবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy