শুধু স্থানীয় দলই নয়। ভিনরাজ্য তো বটেই, এমনকী ভিন দেশের দলও আসছে খেলতে। আটটি দল নিয়ে হওয়া স্বামী বিবেকানন্দ চ্যাম্পিয়নশিপ নৈশ ফুটবল টুর্নামেন্ট নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে মালবাজারের বাসিন্দাদের।
১২ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে এই টুর্নামেন্ট। উদ্যোক্তা মানবাজার পুরসভা ও মহকুমা ক্রীড়া পরিষদ। টুর্নামেন্টের ব্যবস্থাপনাতে রয়েছে সৎকার সমিতিও। গতবছর থেকে শুরু হওয়া এই টুর্নামেন্ট আয়োজিত হয় মালবাজারের রেলওয়ে ময়দানে। এবার আরও বড় করে আয়োজিত হচ্ছে তা। টুর্নামেন্টে খেলবে রেলওয়ে এফসি। রয়েছে আসামের দল বুনজর আসাম। খেলতে আসছে নেপাল মেচি একাদশ ও বাংলাদেশের গাজি ছট স্পোর্টস ক্লাবও। প্রতিযোগিতার অন্যতম আকর্ষণ হতে চলেছে আফ্রিকান একাদশ। কলকাতা থেকে আসা এই দলে রয়েছেন আফ্রিকা মহাদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে খেলতে আসা ফুটবলাররা। আর এদের সঙ্গে খেলতে দেখা যাবে মালবাজার পুরসভার ফুটবল আকাদেমির দলকেও। টুর্নামেন্ট উদ্বোধন করতে আসছেন ভাইচুং ভুটিয়া। ফাইনাল ম্যাচে পি কে বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত থাকবেন বলেও জানা গিয়েছে।
টুর্নামেন্টে গতবারের চ্যাম্পিয়ন ওদলাবাড়ির নেতাজি সুভাষ অ্যাথলেটিক ক্লাবও এ বছর খেতাব ধরে রাখতে মরিয়া। নেতাজি ক্লাবের দল তৈরি হয়েছে কলকাতার ভবানীপুর ক্লাবের কোচ তথা প্রাক্তন জাতীয় খেলোয়াড় দেবজিত ঘোষের পরিচালনায়। শহরের প্রবীণরা জানাচ্ছেন, পঞ্চাশের দশকে এই রেলের মাঠেই পি কে বন্দ্যোপাধ্যায়, চুনী গোস্বামীরা একাধিক টুর্নামেন্টে খেলে গিয়েছিলেন। তারপর ডুয়ার্সের মালবাজারে আর এই মানের কোনও টুর্নামেন্ট হয়নি। পুরানো দিনের স্মৃতিতে ডুব দিয়ে আবার ফুটবলে বুঁদ হতে চাইছেন প্রবীণরা। মালবাজারের বিধায়ক বুলুচিক বরাইক জানিয়েছেন, খেলার ক’দিন রাতে কোনও কাজ রাখবেন না। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত মালবাজারের চেয়ারম্যান স্বপন সাহা এবং মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের সচিব অনুপ সাহা। তদারকিতে রয়েছেন সৎকার সমিতির সম্পাদক তথা পুরসভার বিরোধী দলনেতা সুপ্রতীম সরকারও।
প্রশাসনের ধারণা প্রতি খেলার রাতে অন্তত ১০-১৫ হাজার দর্শক হবে। শহরের ট্রাফিক স্বাভাবিক রাখতে ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করেছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy