অধিবেশনে: মেয়র গৌতম দেব। নিজস্ব চিত্র
বাজেটে প্রস্তাবে শহরবাসীর বাড়ির জল কর মকুবের কথা ঘোষণা করলেন শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব। তবে সেই রাজস্ব ঘাটতি পূরণ করতে শহরের বড় রাস্তাগুলিতে থাকা নার্সিংহোম, হোটেল, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে জল কর ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি করা হল। সোমবার শিলিগুড়ি পুরনিগমে বাজেট প্রস্তাব পেশ করেন তিনি। পুরনিগম সূত্রের খবর, বাড়িতে জল সরবরাহের সংযোগের এক শতাংশ মাসে জলকর নেওয়া হতো। তা মকুব হল। বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে তা দুই শতাংশ ছিল। এবার তা বেড়ে তিন শতাংশের কাছাকাছি হবে। প্রমোটারদের তৈরি আবাসনে ফ্ল্যাটের মালিকানার ভিত্তিতে আলাদা সংযোগ ফি দিতে হবে।
বৃহত্তর পানীয় জল প্রকল্পের মতো কয়েকটি কাজে টাকার অভাবে বাজেটে শুধু প্রকল্পটির কথা উল্লেখ করেছেন মেয়র। তবে তা কবে হবে, বরাদ্দ কী সে সব কিছুই বলেননি। যা নিয়ে সরব হয়েছেন বিরোধীরাও। এদিন ৩১৮ কোটি ৬৬ লক্ষ টাকা ব্যায়ের প্রস্তাব দিয়ে ৪ কোটি ৭ লক্ষ ৩৩ হাজার টাকার ঘাটতি বাজেট পেশ করেন মেয়র। তিনি বলেন, ‘‘মানুষের স্বার্থে, শিলিগুড়ির সার্বিক উন্নয়নে আমরা দায়বদ্ধ। সে কথা মাথায় রেখেই বাজেট হয়েছে। শহরকে যানজট মুক্ত করা, উন্নত নাগরিক পরিষেবা দেওয়ার লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রস্তাব রয়েছে।’’ বিরোধীদের একাংশের প্রশ্ন, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে ঘুরপথে বাড়তি জল-কর মানুষকেই দিতে হবে কি না আশঙ্কাও থাকছে। পুরসভার বিরোধী দলনেতা অমিত জৈন বলেন, ‘‘এতো বীরবলের খিচুড়ি রান্নার মতো বাজেট। খিচুড়ির হাড়ি গাছের উপরে আর আগুন জ্বলছে নীচে। মাত্র ৩০০ কোটি টাকার বাজেট। ৪৭০ কোটি টাকার মেগা জল প্রকল্প হচ্ছে নানা জায়গায় বলছেন। বাজেটে তার অর্থ বরাদ্দের কিছু দেখলাম না। রাজ্যে তাঁরা ক্ষমতায়। ডাবল ইঞ্জিন সরকারে শিলিগুড়িতে ৩ হাজার কোটি টাকার বাজেট করা উচিত ছিল।’’
সিপিএমের দীর্ঘদিনের কাউন্সিলর জয় চক্রবর্তী বলেন, ‘‘বাজেটে জল প্রকল্প কবে হবে স্পষ্ট নয়। এটাই আগে দরকার।’’ কংগ্রেসের একমাত্র কাউন্সিলর সুজয় ঘটকের কথায়, ‘‘পুরসভা সাজালেও কাউন্সিলরদের বসার জায়গা নেই। জল প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে জানতাম। এখন শুনছি কথা এগিয়েছে মাত্র। মেয়র মন্ত্রী থাকার সময় শিলিগুড়ি মহকুমাকে প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ মুক্ত করতে চেয়েছিলেন। অথচ এই বাজেটে কোনও উল্লেখ নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy