সতর্ক: গরুমারার জঙ্গলে চলছে টহল। ছবি: দীপঙ্কর ঘটক
নতুন করে আর গুলির শব্দ পাওয়া যায়নি৷ তবে কোনও চোরাশিকারিও ধরা পড়েনি৷ যদিও চোরাশিকারির সন্ধানে তল্লাশি জারি রয়েছে ধূপঝোরা (১) বিট সহ আশপাশের জঙ্গলে৷ বন দফতরের পাশাপাশি পুলিশ ও সিআইএসএফ মিলিয়ে যৌথ টহল চালিয়ে যাচ্ছে৷
কিছু দিন আগেই গরুমারার জঙ্গলে দু’টি গন্ডারের দেহ উদ্ধার হয়৷ ওই ঘটনার পরে জঙ্গলে নিরাপত্তা বাড়ানোর কথা জানায় বন দফতর৷ তারপরও বৃহস্পতিবার সকালে ধূপঝোরা ১ বিটে হাতির পিঠে চেপে টহল দেওয়ার সময় আচমকাই গুলির শব্দ পান এক বনকর্মী৷ সঙ্গে সঙ্গে তিনি খবর দেন বনকর্তাদের৷ তাদের পাশাপাশি ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশ ও এসএসবি জওয়ানরাও৷ শুরু হয় জঙ্গলে যৌথ তল্লাশি৷
এরই মধ্যে বনকর্মীদের একটি দল ধূপঝোরা ১ বিটে একক ভাবে তল্লাশি চালানোর সময় তিন জন তাদের নজরে আসে৷ বনকর্মীদের দেখে তারা পালাতে শুরু করলে বন কর্মীরা শূন্যে এক রাউন্ড গুলি ছোড়ে বলে একটি সূত্রের দাবি৷ যদিও মূর্তি নদী পার হতেই বন্ধনী মুণ্ডা নামে এক ব্যক্তিকে ধরে ফেলেন বনকর্মীরা৷ বন দফতর সূত্রের খবর, এ দিন তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷
বন দফতরের এক কর্তা জানিয়েছেন, প্রাথমিক ভাবে তাঁদের সন্দেহ, চোরাশিকারের উদ্দেশ্যেই কেউ কেউ ওই অরণ্যে ঢুকেছিল৷ তারা কারা, তা জানার চেষ্টা চলছে বলে জানান ওই আধিকারিক৷ বন দফতর একটি সূত্রের দাবি, বৃহস্পতিবার গরুমারা উত্তর রেঞ্জ এলাকা থেকে আরও দুই ব্যক্তিকে আটক করা হয়৷ এ দিন তাদের একজনকে অবশ্য ছেড়ে দেওয়া হয়েছে৷
এ দিকে, বৃহস্পতিবার রাতের পর এ দিন সকাল থেকে ফের ধূপঝোরা ও আশপাশের জঙ্গলে তল্লাশি শুরু করেন বনকর্মীরা৷ এ দিন বনকর্মীদের সঙ্গে জঙ্গলে টহলদারিতে ছিল পুলিশ ও সিআইএসএফও৷ তবে দিনভর তল্লাশি চললেও এ দিন কোনও চোরাশিকারির সন্ধান মেলেনি৷
গরুমারার সুরক্ষায় মূর্তি নদী থেকে নাগরাকাটা যাওয়ার রাস্তায় নজর মিনার বাড়ানোর দাবি উঠেছে বনকর্মীদের একাংশের মধ্য থেকে৷ যদিও বনকর্তারা জানিয়েছেন, জঙ্গলের নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হবে৷ বন দফতরের উত্তর মণ্ডলের বনপাল সুমিতা ঘটক বলেন, ‘‘এ বার থেকে আমরা মাঝে মধ্যেই অন্য নিরাপত্তা এজেন্সির সঙ্গে জঙ্গলে আচমকা টহলদারি চালাবো।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy