প্রতীকী চিত্র।
মাঠ নিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির দ্বৈরথ এ বার রায়গঞ্জে।
রায়গঞ্জ স্টেডিয়ামে আজ, মঙ্গলবার সভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার একদিন পর বৃহস্পতিবার ওই মাঠেই দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের সভা করতে চেয়ে সোমবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হল বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রীর সভার পরে যাতে দ্রুত সেই মঞ্চ খুলে দেওয়া হয় তার আর্জিও জানিয়েছে বিজেপি। সম্প্রতি কোচবিহারের রাসমেলা ময়দানে প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর সভা নিয়ে উত্তপ্ত তরজা হয়েছে দুই দলে।
তবে বিজেপির আশঙ্কা, শেষ মুহূর্তে সভার মাঠ না-ও পাওয়া যেতে পারে। তাই বিকল্প মাঠেরও ব্যবস্থা করে রাখছে তারা। প্রথমে রায়গঞ্জের উকিলপাড়ায় মার্চেন্ট ক্লাবের মাঠে শাহের সভার জন্য অনুমতি জোগাড় করেছিল তারা। ওই মাঠেই আজ, মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীর সভা করার কথাও ছিল। কিন্তু নিরাপত্তার জন্য সভা স্টেডিয়ামে নিয়ে যাওয়া হয়। স্টেডিয়ামে লোকও বেশি বসতে পারবেন। মাঠেই হেলিপ্যাড করা হয়েছে। এ দিন হেলিকপ্টার মহড়াও হয়।
শাহের সভায় লোক জমায়েত বেশি করতে এ বার বিজেপিও মার্চেন্ট ক্লাবের মাঠের বদলে স্টেডিয়ামের মাঠে সভা করতে চেয়ে এ দিন দুপুরে আবেদন করে রায়গঞ্জের মহকুমাশাসকের দফতরে।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
তা নিয়ে সন্ধে পর্যন্ত টালবাহানা চলে। মহকুমা শাসক রজতকান্তি বিশ্বাসের দাবি, ‘‘জেলাশাসককে সব কথা জানানো হয়েছে।’’ তবে জেলাশাসক অরবিন্দকুমার মিনার তরফে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত আসেনি। বিজেপির রায়গঞ্জ কেন্দ্রের দলীয় পর্যবেক্ষক অমিতাভ মৈত্র বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী স্টেডিয়ামে সভা করছেন। এর পরে যদি বিজেপিকে ওই মাঠ ব্যবহার করতে না দেওয়া হয়, তা হলে সেটা পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণ হবে বলেই মনে করি। প্রয়োজনে তা নিয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাব।’’ তৃণমূলের জেলা সভাপতি অমল আচার্য বলেন, ‘‘ওই মাঠের অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি প্রশাসন দেখে, তারাই যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেবেন।’’
জেলাশাসক তথা জেলা নির্বাচনী আধিকারিক অরবিন্দকুমার মিনাকে ফোন করা হলে তিনি ধরেননি। এসএমএস করলেও উত্তর দেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy