—প্রতীকী ছবি
লোকসভা নির্বাচনেও বন্যপ্রাণ নিয়ে চিন্তায় আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসন। জঙ্গল লাগোয়া ভোটকেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত ভোটকর্মীদের বন্যপ্রাণীদের থেকে নিরাপত্তা দিতে বন দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে শীঘ্রই বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জেলা প্রশাসনের কর্তারা। প্রশাসন সূত্রের খবর, ভোট কর্মীদের নিরাপত্তায় প্রয়োজনে জলপাইগুড়ি থেকে কিছু বনকর্মীকে আলিপুরদুয়ারে নিয়ে আসারও প্রস্তাব দেওয়া হবে বন দফতরের আধিকারিকদের।
আলিপুরদুয়ার জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে রয়েছে বন-জঙ্গল৷ সেই বনাঞ্চলের ধারে প্রচুর মানুষের বাসও রয়েছে। ফলে সেখানে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রও রয়েছে৷ কিন্তু আলিপুরদুয়ার জেলায় গত কয়েক মাসে মানুষ-বন্যপ্রাণ সংঘাতের ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় ওই ভোটগ্রহণ কেন্দ্রগুলিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তা বাড়ছে প্রশাসনের। এমনিতে আলিপুরদুয়ারে অনেক সময়েই মানুষ-বন্যপ্রাণ সংঘাতের ঘটনা ঘটে৷ কিন্তু গত ডিসেম্বরের গোড়া থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত শুধুমাত্র মাদারিহাটে মানুষ-চিতাবাঘ সংঘাতের ঘটনা ঘুম কেড়ে নেয় বন দফতরের। চিতাবাঘের হানায় ওই ব্লকে বিভিন্ন চা বাগানে তিন শিশু-কিশোরের মৃত্যু হয়। জখম হন দু’জন৷ গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে দু’টি চিতাবাঘকে মেরে ফেলার অভিযোগও ওঠে। সংঘাত ঠেকাতে খাঁচা পেতে ১১টি চিতাবাঘকে বন্দি করে বন দফতর। এত সংখ্যায় চিতাবাঘ খাঁচাবন্দি হওয়ায় মাদারিহাটে এই মুহূর্তে সংঘাত থামলেও, গত কয়েক মাসে জেলার অন্যত্রও এমন ঘটনা ঘটেছে দু’একটি। তাই জঙ্গল লাগোয়া ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীদের নিরাপত্তায় ঝুকি নিতে চাইছেন না প্রশাসনের কর্তারা।
আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক শুভাঞ্জন দাস বলেন, ‘‘আলিপুরদুয়ার জেলায় ৪৩টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্র প্রত্যন্ত এলাকায়। তবে এর সবগুলিই যে জঙ্গল লাগোয়া এলাকায় পড়ছে, তা নয়। কিছু ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে যেতে জঙ্গলের পথ ব্যবহার করতে হয়। যদিও কর্মীরা গাড়িতে চেপেই সেই পথে যাবেন, তবু ওই সময়ে একটু বেশি সতর্ক থাকতে বলা হবে বন দফতরকে। এ জন্য শীঘ্রই বন দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করা হবে।’’
আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে প্রথম পর্যায়ে লোকসভা নির্বাচন হলেও, জলপাইগুড়িতে নির্বাচন দ্বিতীয় পর্যায়ে। এই অবস্থায় প্রশাসনের কর্তারা চাইছেন ভোটের সময়ে নিরাপত্তায় প্রয়োজনে জলপাইগুড়ি থেকে কিছু বনকর্মীকে নিয়ে আসা হোক আলিপুরদুয়ারে। বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে বন আধিকারিকদের প্রস্তাব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রশাসনের কর্তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy