—প্রতীকী চিত্র।
নিজেদের কেনা বাড়ি-সহ জমির দখল নিতে গিয়ে গুরুতর যখম হলেন চার জন। অভিযোগ, তাঁদের উপর অ্যাসিড হামলা হয়েছে। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘিতে। অন্য দিকে, পাল্টা ওই চার জনের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ করেছেন ওই মহিলাও। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার দুপুর ১২টা নাগাদ করণদিঘি থানার পিছলা গ্ৰামে একটি জমি বিবাদকে কেন্দ্র গন্ডগোলের সূত্রপাত হয়। আরতি শা নামে এক মহিলার ছোড়া তরলে বেশ কয়েক জন জখম হন। গুরুতর অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করে করণদিঘি গ্ৰামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁরা অ্যাসিড হামলার অভিযোগ করেন। এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ।
স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, অভিযুক্তা প্রতিমা শা এবং তাঁর বোন আরতি শা পিছলা গ্রামে থাকেন। ওই গ্রামেরই বাসিন্দা তপন সিংহের সঙ্গে প্রতিমার বিয়ে হয়। কয়েক বছর আগে তপন প্রথম পক্ষের স্ত্রীকে কিছু না জানিয়ে আর একটি বিয়ে করেন। অভিযোগ, প্রতিমাকে কোনও কিছু না জানিয়েই বাড়ি-সহ জমি বিক্রয় করে দেন তপন। ওই জায়গা এবং বাড়িটি কেনেন জনৈক শঙ্কর শা এবং প্রমোদকুমার শা। তাঁদের দাবি, মাসখানেক আগে ওই বাড়ি ও জমি বিক্রির কাজ হয়ে গিয়েছে। তার পর থেকেই প্রতিমা এবং আরতির কাছে বার বার অনুরোধ করা হলেও তাঁরা ওই বাড়ি এবং জমি খালি করেননি। রবিবার দুপুরে প্রমোদ এবং শঙ্কর তাঁদের আত্মীয়দের নিয়ে প্রতিমার বাড়িতে যান। সেখানে প্রতিমার বোন আরতি তাঁদের উপর অ্যাসিড ছোড়েন বলে অভিযোগ।
অন্য দিকে, প্রতিমার অভিযোগ, তাঁর স্বামী তাঁকে কিছু না জানিয়ে ওই জমি ও বাড়ি বিক্রি করে দিয়েছেন। তিনি কোথায় থাকবেন তা এখনও ঠিক হয়নি। তাই ওই জমি অধিকার ছাড়তে চাননি তিনি। তবে রবিবার ঘটনার সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন না বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘‘বোন একা বাড়িতে ছিল। নিজের সম্ভ্রম রক্ষা করার চেষ্টা করেছে ও।’’
জখম রাজকুমার পাশোয়ান নামে এক ব্যক্তির দাবি, ‘‘জমির দখল নিতে নয়। ওঁদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলাম। কিন্তু প্রতিমার বাড়িতে যেতেই ওঁর বোন আরতি কিছু একটা ছুড়ে দেন। গায়ে পড়া মাত্র জ্বালাপোড়া শুরু হয়।’’ তাঁর দাবি, ‘‘টাকা দিয়ে কেনা জমির বৈধ মালিকানা এখন আমাদের হাতে রয়েছে।’’ এ নিয়ে করণদিঘি থানার পুলিশ জানিয়েছে, জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরে একটি ঘটনা ঘটেছে। তবে ঠিক কী ছোড়া হয়েছিল, সেটা স্পষ্ট নয়। আহতদের চিকিৎসা চলছে হাসপাতালে। দু’পক্ষের তরফ থেকেই অভিযোগ করা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy