Advertisement
১৭ মে ২০২৪

বইমেলায় কথা বললেন না সাবিত্রী-কৃষ্ণেন্দু

বইমেলার মিছিলে এক সঙ্গে হাঁটলেন মালদহের যুযুধান দুই মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী ও সাবিত্রী মিত্র। কিন্তু, দু’জনের মধ্যে প্রকাশ্যে একটি কথাও হল না। সোমবার মালদহ জেলার ২৭ তম বই মেলার উদ্বোধনে দেখা গেল এমনই ছবি।

মালদহ বইমেলা ঘুরে দেখছেন সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়।

মালদহ বইমেলা ঘুরে দেখছেন সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মালদহ শেষ আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০১৬ ০২:৫৮
Share: Save:

বইমেলার মিছিলে এক সঙ্গে হাঁটলেন মালদহের যুযুধান দুই মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী ও সাবিত্রী মিত্র। কিন্তু, দু’জনের মধ্যে প্রকাশ্যে একটি কথাও হল না।

সোমবার মালদহ জেলার ২৭ তম বই মেলার উদ্বোধনে দেখা গেল এমনই ছবি। দুপুরে মালদহ কলেজ ময়দানে জেলা বইমেলার উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়। মঞ্চে এক সঙ্গে হাজির না থাকলেও বই মেলার শোভাযাত্রার পা মিলিয়েছেন কৃষ্ণেন্দুবাবু ও সাবিত্রীদেবী। যা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন দলের নেতাদের একাংশ। তৃণমূল নেতৃত্ব বারবার এই দুই নেতার জন্য বিব্রত হয়েছে। সম্প্রতি সরকারি সভায় দুই মন্ত্রী প্রকাশ্যেই বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। তারপরে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তিন দিন আগেই জেলাতে এসে নাম না করে দুই মন্ত্রীকে কড়া ভাষায় ভর্ৎসনা করেছিলেন রাজ্য নেতারা। জোটবদ্ধ হয়ে চলার বার্তাও দিয়েছিলেন তাঁরা। তারপরেই দুই মন্ত্রীর পদযাত্রায় যোগ দেন বলে মনে করেছেন দলীয় নেতারা। তবে দুই মন্ত্রীই এই বিষয় নিয়ে কিছু বলতে নারাজ। দু’জনেই আলাদা ভাবে বলেন, ‘‘এটা বই নিয়ে মেলা। এখানে রাজনীতি নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না।’’

উৎসবের মধ্যে দিয়ে এ দিন মালদহ কলেজ ময়দানে সূচনা হয় বইমেলা ও প্রদর্শনীর। মেলার সূচনা হয় শোভাযাত্রা দিয়ে। ইংরেজবাজারের বৃন্দাবনীয় ময়দান থেকে শুরু হয় সভা। সেই সভায় শহরের সমস্ত স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা সামিল হয়। পড়ুয়াদের সঙ্গে পদযাত্রায় পা মেলান সাহিত্যিক শীর্ষেন্দুবাবুও। এদিন দুপুর আড়াইটে নাগাদ ফিতে কেটে মেলার উদ্বোধন করেন শীর্ষেন্দুবাবু। তিনি বলেন, ‘‘আগেও এই জেলার বইমেলার উদ্বোধন করেছিলাম আমি। জেলার এই মেলাটি খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এখানে যোগ দিতে পেরে আমার খুবই ভালো লাগছে।’’

মেলার উদ্বোধনে সাবিত্রীদেবী থাকলেও ছিলেন না কৃষ্ণেন্দুবাবু। হাজির ছিলেন সাংসদ মৌসম নূর। উপস্থিত ছিলেন গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য গোপাল মিশ্র, জেলাশাসক শরদকুমার দ্বিবেদী, পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় সহ বিশিষ্ট জনেরা। বইমেলা কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বারের মেলায় মোট ১৪০টি স্টল রয়েছে। এ ছাড়া অন্য স্টল রয়েছে ৭০টি। সাত দিন ধরে চলবে এই মেলা। মেলাতে দু’টি মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। সেই মঞ্চগুলিতে সাত দিনই নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। সাবিত্রীদেবী বলেন, ‘‘ক্রমশ বিস্তার লাভ করছে আমাদের জেলার এই মেলা।’’ বইমেলা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ি জানান, ছোটদের নিয়ে সাত দিন ধরে নানান প্রতিযোগিতা হয়। মেলাতে ভাল ভিড় জমে প্রতি বছরই। বিক্রেতারাও লাভবান হন। তাঁর আশা, এ বারও ভাল বই বিক্রি হবে মেলাতে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

ub
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE