ইংরেজবাজারে বিস্ফোরণে ধ্বংস হয়ে যাওয়া টোটোর পাশ দিয়ে অবাধে চলছে যাতায়াত। নিজস্ব চিত্র
ইংরেজবাজারে টোটো-বিস্ফোরণ কাণ্ডের ৪৮ ঘণ্টা পরেও অন্ধকারে পুলিশ। শুক্রবারও মালদহে পৌঁছয়নি রাজ্যের ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ দল। শনিবার ওই দলের জেলায় আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, বিস্ফোরণের সময় ওই টোটোয় কী পণ্য ছিল এবং কোথা থেকে সে সব নেওয়া হয়েছিল, তা নিয়ে খোঁজ চলছে।
তিন দিন পরে ঘটনাস্থলে ফরেন্সিক দল পৌঁছলে কতটা নমুনা সংগ্রহ করা যাবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া টোটো ব্যারিকেড করে রাখা হয়েছে ঠিকই, কিন্তু বৃষ্টিতে নমুনা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। একই সঙ্গে ঘটনাস্থলের পাশ দিয়ে দেদার যানচলাচল চলাচল করছে। যাচ্ছেন পথচারীরাও। তাতেও নমুনা নষ্টের আশঙ্কা থাকছে। যদিও পুরো এলাকা ঘিরে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সেখানে সিভিককর্মীও মোতায়ন করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ইংরেজবাজারের বাগবাড়ি এলাকার একটি দোকান থেকে কিছু সামগ্রী কিনে সুজাপুরে ফিরছিলেন মহম্মদ ইলিয়াস শেখ। ইংরেজবাজার শহরের ঘোড়াপীর সংলগ্ন ঘোষপাড়া এলাকায় টোটোয় বিস্ফোরণে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় চালকের দেহ। বিস্ফোরণের সময় টোটোয় কী ধরনের জিনিস ছিল তা জানতে দোকান মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে পুলিশ। দোকান মালিক কমল শর্মা বলেন, ‘‘ফলস সিলিং, ফ্লাস ডোর, তরল জাতীয় আঠা কেনা হয়েছিল। কী ভাবে বিস্ফোরণ হল তা বলতে পারব না।”
যদিও পুলিশের একাংশের দাবি, টোটোর ব্যাটারি থেকেই বিস্ফোরণ হয়ে থাকতে পারে। কারণ চালকের আসনের নিচের দু’টি ব্যাটারি টুকরো টুকরো হয়ে যায়। ব্যাটারি প্লাস্টিকে তৈরি। তার ভিতরেই থাকে জল ও অ্যাসিড। তাতে ব্যাটারি থেকেই বিস্ফোরণ বলে প্রাথমিক অনুমান। তবে ব্যাটারি বিস্ফোরণের তীব্রতা কতটা হলে কারও শরীর ছিন্নভিন্ন হয়ে যেতে পারে, সেই উত্তর খুঁজছে পুলিশ। এমন অবস্থায় ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ দলের পরীক্ষার রিপোর্টের দিকেই তাকিয়ে পুলিশ ও গোয়েন্দা বিভাগ। মালদহের পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, ‘‘ফরেন্সিক দলের রিপোর্ট আসার পরেই বিষয়টি স্পষ্ট হবে’’।
এ দিকে, তদন্ত ধীর গতিতে চলছে বলে কটাক্ষ করেছেন উত্তর মালদহের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু। তিনি বলেন, ‘‘বিস্ফোরণের পরে তিন দিন কেটে গেলেওও দেখা নেই ফরেন্সিক দলের। রাজ্য সরকার বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। তাই আমরা এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়েছি।” খগেনের সমালোচনা করে পুলিশের পাশে দাঁড়িয়েছেন ইংরেজবাজারের তৃণমূল বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ। তিনি বলেন, “পুলিশের তদন্ত চলছে। দ্রুত টোটো বিস্ফোরণের রহস্য সামনে আসবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy