দক্ষিণ দিনাজপুরের হরিরামপুরে শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের পর পরিস্থিতি সামাল দিল পুলিশ। —নিজস্ব চিত্র।
তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে মারপিটের ঘটনায় দক্ষিণ দিনাজপুরের হরিরামপুরে তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়েছে। দু’তরফে ৩ জন জখম হন। তাঁদের চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
শনিবার রাতে বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা সোনা পালের অনুগামীদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তুলে সরব হন তৃণমূলের জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্রর অনুগামী ব্লক সভাপতি তাজমুল হকেরা। সোনা পাল ও তাঁর অনুগামীদের গ্রেফতারের দাবিতে তাঁরা থানায় বিক্ষোভ দেখান। পাল্টা হামলার অভিযোগ করে সোনা পাল গোষ্ঠী।
সোনা পালের অভিযোগ, রাত ১০টা নাগাদ তাজমুল-অনুগামীরা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তাদের এক অনুগামীকে বাঁশ দিয়ে মেরে হাত ফাটিয়ে দেয়। ইট ছুড়ে দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর করা হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিও ছিঁড়ে দেওয়া হয় বলে সোনা পাল অভিযোগ করেন। রাতেই এসডিপিওর নেতৃত্বে কমব্যাট ফোর্স সহ বিরাট পুলিশ বাহিনী হরিরামপুর পৌঁছলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। তাজমুল হকের পাল্টা অভিযোগ, ‘‘ক্ষমতাচ্যুত হয়ে সোনাবাবু তাঁর বাহিনী নিয়ে আমাদের কর্মীদের উপর হামলা শুরু করেছে।’’ শুক্রবার রাতে ছাত্র পরিষদের দুই কর্মী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় হোটেলে ভাত খেতে গেলে তাঁদের উপর সোনাবাবুর অনুগামীরা চড়াও হয়ে মারধর করেন বলে তাজমুল হকের অভিযোগ। থানায় সোনাবাবু ও তাঁর ভাই বিভু পাল সহ কয়েকজনের নামে অভিযোগ করা হলেও পুলিশ তাঁদের ধরছে না বলে তাজমুলবাবুর অভিযোগ। দলীয় কার্যালয়ে হামলা ও মুখ্যমন্ত্রীর ছবি ছেঁড়ার অভিযোগ বানানো বলে তাজমুল হক দাবি করেন। বিপ্লববাবু দাবি করেন, ‘‘দল থেকে বহিষ্কারের পরেও সোনাবাবু হরিরামপুর এলাকায় তান্ডব চালাচ্ছেন। দলীয় কার্যালয় দখল করে তৃণমূলের পতাকা ব্যবহার করে দলেরই কর্মী সমর্থকদের মারধোর করছেন। পুলিশকে কড়া হাতে মোকাবিলা করতে বলেছি।’’
জেলা পুলিশ সুপার শীশরাম ঝাঝারিয়া বলেন, ‘‘দুই গোষ্ঠীর মধ্যে মারপিটের ঘটনায় দু’পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে থানায় গিয়েছিল। উভয় পক্ষের অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এলাকায় পুলিশ পিকেট রয়েছে।’’
হরিরামপুর থেকে নির্বাচিত জেলা পরিষদের সদস্য সোনাবাবু পদাধিকার বলে হরিরামপুর পঞ্চায়েত সমিতি পূর্ত, কৃষি ও শিক্ষা স্থায়ী সমিতির সদস্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy