সুস্বাদু: বেলাকোবার চমচম। —নিজস্ব চিত্র।
মুখোশে মোদী, পরচুলায় মালিঙ্গা।
এ বার মালদহ জেলার দোলে এই দুই নকল মুখোশ ও চুলই হিট। তবে, এ দু’টির পাশাপাশি কচিকাচাদের আকর্ষণের তালিকায় রয়েছে মোটু-পাতলু, ডোরেমন, ছোটা ভীম, বাঘ-সিংহ, হরেক কিসিমের ভূত ও স্পাইডারম্যানের মুখও। জেলা সদরের দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন বাজার থেকে শুরু করে নেতাজি বাজার, মকদমপুর বাজার, ঝলঝলিয়া বাজার—সর্বত্রই দেদারে বিকোচ্ছে এই মুখোশ ও পরচুলা। এ ছাড়া দোকানে দোকানে আবির, রং, পিচকারির পাশাপাশি শোভা পাচ্ছে নানা কিসিমের টুপি, চশমাও।
দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন বাজারে রঙের পসরা নিয়ে বসা ব্যবসায়ী সোনু পাশি বলেন, ‘‘মাথা ও মুখ ঢাকার জন্যই পরচুলা, টুপি ও মুখোশের ব্যবহার বেড়েছে। রং থেকে চোখকে বাঁচাতে চশমাও বিকোচ্ছে ভাল। তবে এ বার মালিঙ্গার পরচুলা ও মোদীর মুখোশের চাহিদা বেশি।’’ মালিঙ্গার পরচুলাগুলি ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে আর মোদির মুখোশ একেবারেই সস্তা, মাত্র ১৫ টাকা।
রবিবার দোল হলেও মালদহে রবি ও সোমবার-এই দু’দিনই রং খেলায় মাতেন আবালবৃদ্ধবনিতা। এ বারও তার ব্যতিক্রম হবে না।
এ দিকে দোলের বাজার এখন জমে উঠেছে। ভেষজ আবির হাতে গোনা কয়েকটি দোকানে বিক্রি হচ্ছে। অভিযোগ, নিম্নমানের রাসায়নিক রং-ই বেশিরভাগ দোকানে দেদারে বিক্রি হচ্ছে। বাঁদরে রং থেকে শুরু করে লাল, হলুদ, বেগুনি রংই দোকানগুলিতে থরে থরে সাজানো রয়েছে। তবে এ সব রং থেকে নিজেদের বাঁচাতে এ বার পরচুলা ও মুখোশের চাহিদা বেশি রয়েছে। এ সবের বিক্রিও জমজমাট। মালদহে বিশিষ্ট চর্ম রোগ বিশেষজ্ঞ কপিলদেব দাস বলেন, ‘‘এখনকার ছেলেমেয়েরা অনেক বেশি স্বাস্থ্য সচেতন। তাই রাসায়নিক রং থেকে চুল ও ত্বককে বাঁচাতে মুখোশ, পরচুলা, টুপি প্রভৃতি ব্যবহার করছে। এটা ভাল।’’ তিনি জানান, পাশাপাশি রং খেলার আগে মুখে, হাতে পুরু করে কোনও ক্রিম বা তেল মেখে নেওয়া উচিত। মাথাতেও তেল মেখে নেওয়া দরকার। রং খেলা শেষ করেই স্নান করতে হবে। চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ মলয় সরকার বলেন, ‘‘সচেতন হওয়ায় এখন চশমার ব্যবহার বেড়েছে কিন্তু ভেষজ রং ব্যবহার সবচেয়ে জরুরি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy