Advertisement
১৯ মে ২০২৪

সার্কিট বেঞ্চের উদ্বোধন বাকি ৩ দিন, ভবনের কাছ থেকে সরছে সব হোর্ডিং

তিনি এলাকা থেকে সব হোর্ডিং সরিয়ে ফেলার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।

প্রস্তুত: জলপাইগুড়িতে সার্কিট বেঞ্চের অস্থায়ী ভবনে বিচারপতিদের আসন। নিজস্ব চিত্র

প্রস্তুত: জলপাইগুড়িতে সার্কিট বেঞ্চের অস্থায়ী ভবনে বিচারপতিদের আসন। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ০৬ মার্চ ২০১৯ ০৫:১১
Share: Save:

হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চের আদালত ভবন এলাকা ‘নো হোর্ডিং’ জ়োন হতে চলেছে।

মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান মোহন বসু আধিকারিকদের নিয়ে আদালত ভবন পরিদর্শনে আসেন। তিনি এলাকা থেকে সব হোর্ডিং সরিয়ে ফেলার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।

দুপুরে সার্কিট বেঞ্চের সামনে চেয়ারম্যানের পরিদর্শনের পর বিকেল থেকেই কাজ শুরু করেছে পুরসভা। সার্কিট বেঞ্চের অস্থায়ী ভবনে যাওয়ার রাস্তায় দুটি উঁচু আলোকস্তম্ভ বসানো হচ্ছে। আদালত ভবনের চারপাশে থাকা নর্দমাগুলি পরিষ্কার করে ঢেকে দেওয়ার কাজ চলছে।

আদালত ভবনের সামনে দাঁড়িয়েই তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার চেয়ারম্যান মোহন বসু নির্দেশ দেন, “আশেপাশের সব হোর্ডিং-ব্যানার খুলে দিতে হবে। কোনও দলের বাছবিচার করবেন না। আমার নাম লেখা হোর্ডিং থাকলেও খুলে দেবেন।” বেঞ্চে যাওয়ার রাস্তার দু’পাশে ডাস্টবিন বসাচ্ছে পুরসভা। পোস্টঅফিস মোড় থেকে স্টেশন রোড পর্যন্ত ফুটপাতে কোনও দখলদার বসতে দেওয়া হবে না বলেও সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুরসভা।

এর পাশাপাশি শহর জুড়ে সাফাই ও সৌন্দর্যায়নের কাজও শুরু করেছে প্রশাসন। করলা এবং তিস্তা বাঁধের উপর সদ্য নির্মিত করিডর সাফসুতরো রাখার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। বেঞ্চের উদ্বোধনে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই দুই রাস্তা দিয়ে হাঁটতে পারেন বলে প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। ঠিক হয়েছে, পূর্ত দফতরের পরিদর্শন বাংলোতে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী।

নিরাপত্তা নিয়েও জরুরি বৈঠক হয়েছে এ দিন। শহরে একসঙ্গে এত জন ভিআইপি আসছেন, তার জন্য আঁটোসাটো সুরক্ষা ব্যবস্থা রাখতে এ দিন বিকেলে জলপাইগুড়ির সার্কিট হাউসে প্রশাসনিক বৈঠক হয়েছে। জেলাশাসক শিল্পা গৌরীসারিয়া, জেলা পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি ও অন্য আধিকারিকরা বৈঠকে ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সুরক্ষা বাহিনীর অফিসারেরাও ছিলেন বৈঠকে। আলোচনার বিষয় নিয়ে কেউই মন্তব্য করেননি। সূত্রের খবর, এ দিন মূলত কোন ভিভিআইপি কোথায় থাকবেন, তা ঠিক হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী আগামী শুক্রবার বিকেলে জলপাইগুড়ি পৌঁছবেন।

বাবুপাড়ার করলা সেতু থেকে করলা নদীর দু’দিকে সমান্তরাল ভাবে দুটি বাঁধ গিয়েছে। সেই বাঁধের ওপর হাঁটার জন্য পেভার ব্লক বসানো হয়েছে। দু’পাশে রেলিং এবং অভিজাত আলোকস্তম্ভ বসানোর কাজ এখন চলছে। প্রায় ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের এই কাজ দু দিনের মধ্যে শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

circuit bench
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE