রেবা কুণ্ডু। ছবি সংগৃহীত।
নতুন চেয়ারপার্সন কে হবেন, তা নিয়ে তৃণমূলের অন্দরেই বিরোধ তৈরি হয়েছে কোচবিহারে। গত শনিবার রাতে রেবা কুন্ডু কোচবিহার পুরসভার চেয়ারপার্সেনের পদ থেকে ইস্তফা দেন। তার পরেই নতুন চেয়ারপার্সেন হওয়ার দৌড় শুরু হয়ে যায়। সেই দৌড়ে যেমন রয়েছেন দীর্ঘ দিনের কাউন্সিলর ভূষণ সিংহ, তেমনই রয়েছে নবাগত গীতা উপাধ্যায়ের নামও। পাশাপাশি দলের কোচবিহার জেলা সহ সভাপতি আব্দুল জলিল আহমেদের স্ত্রী আমিনা আহমদের নামও রয়েছে। আমিনা আহমেদ বর্তমানে ভাইস চেয়ারপার্সেনের দায়িত্বে রয়েছে। এ ছাড়া সংখ্যালঘু মহিলা মুখ হিসেবেও তাঁকে তুলে ধরছে তৃণমূলের একটি অংশ।
তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ অবশ্য কোনও বিরোধের কথা মানতে চাননি। তিনি বলেন, “নতুন চেয়ারপার্সন কে হবেন, তা দলীয় নেতৃত্ব ঠিক করে দেবেন। সময় মতো সব ঘোষণা হবে।” নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তৃণমূলের এক জেলা নেতা বলেন, “দুর্নীতি মুক্ত স্বচ্ছ প্রশাসন তুলে ধরতে পারবে এমন কাউকেই দল সামনে রাখবে। কাউন্সিলরদের সম্পর্কে দলনেত্রীর সব জানা আছে। রাজ্য নেতৃত্ব খোঁজখবর নিচ্ছেন। সঠিক কাউন্সিলরকেই ওই দায়িত্ব দেওয়া হবে।”
কাউন্সিলররা অবশ্য কেউই ওই বিষয় নিয়ে মুখ খুলতে চান না। দীর্ঘ দিনের কাউন্সিলর ভূষণ সিংহ বলেন, “এ ব্যাপারে আমার কিছু জানা নেই। আমি দলের অনুগত সৈনিক। দল যা সিদ্ধান্ত নেবে তাই মেনে চলব।” ভাইস চেয়ারপার্সেন আমিনা আহমেদ বলেন, “এই বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই।”
দলীয় সূত্রের খবর, প্রায় দুই কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় দলীয় নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে শনিবার চেয়ারপার্সনের পদ থেকে পদত্যাগ করেন রেবাদেবী। ২০ আসন বিশিষ্ট কোচবিহার পুরসভায় বর্তমানে কাউন্সিলর রয়েছে ১৯ জন। এর মধ্যে রেবাদেবী ও তাঁর ছেলে শুভজিৎ কুণ্ডুকে নিয়ে তৃণমূলের টিকিটে জয়ী কাউন্সিলর রয়েছেন ৯ জন। ২ জন নির্দল কাউন্সিল তৃণমূলেকেই সমর্থন করেন। ওই ১১ জন কাউন্সিলররে সংখ্যাগরিষ্ঠ রেবাদেবীর ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। এই অবস্থায় দলের ঘোষণার দিকেই তাকিয়ে আছেন সকলে। রেবা দেবী বলেন, “দলের নির্দেশে পদত্যাগ করেছি। নতুন চেয়ারপার্সেন না হওয়া পর্যন্ত কাজ চালিয়ে যাব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy