কাঠচোর সন্দেহে বনকর্মীদের ছড়রা গুলির আঘাতে মৃত্যু হল এক যুবকের। শুক্রবার গভীর রাতে জলপাইগুড়ি বনবিভাগের চালসা রেঞ্জের খড়িয়ার বন্দরের জঙ্গলে ঘটনাটি ঘটে। মৃতের নাম ডাবলু মহম্মদ (১৯)। তার বাড়ি মেটেলি থানার বাতাবাড়িতে।
শুক্রবার রাতে খড়িয়ার বন্দর বিটের বিটআধিকারিক সুনীল রায় চৌধুরীর নেতৃত্বে জঙ্গলে টহল চলছিল। সে সময়েই খড়িয়ারবন্দরের ২নম্বর কম্পার্টমেন্টে গাছ কাটার আওয়াজ পান তারা। আওয়াজ শুনে যেখানে গাছ কাটা চলছে তার কাছাকাছি যেতেই ১০ থেকে ১৫ জনের একটি দলকে দেখতে পান বনকর্মীরা। বনকর্মীদের দেখতে পেয়েই তির, গুলতি দিয়ে ঢিল ছুড়তে থাকেন দুষ্কৃতীরা। পাল্টা বনকর্মীরা ছররা গুলি ছোড়েন সেই গুলির আঘাতেই ডাবলু মহম্মদ নামের যুবকের মৃত্যু হয়। অন্য দুষ্কৃতীরা পালিয়ে গেলেও কাঠ পাচারের উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত একটি ভ্যান রিক্সা এবং শাল গাছের গুড়িও উদ্ধার করেন বনকর্মীরা। পরে মৃতদেহ মঙ্গলবাড়ি ব্লক প্রাথমিক হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে সেখানেই ডাবলু মহম্মদের মৃত্যু হয়। কাঠচোরদের ছোড়া ঢিলে জখম হন বিট আধিকারিক সুনীল রায়চৌধুরী ছাড়াও অখিল রায় নামের এক বনশ্রমিক এবং গোবিন শর্মা নামের এক বনকর্মী। তাদের মঙ্গলবাড়ির হাসপাতালে এনেপ্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়।
পুরো ঘটনার বিবরণ জানিয়ে মেটেলি থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করা হয়। চালসার রেঞ্জার পল্লব মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘যে এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে সেখানে কাঠচোরদের দল যে সক্রিয় হয়ে রয়েছে সে খবর আমাদের কাছে আগে থেকেই ছিল।’’ ওদলাবাড়ির পরিবেশপ্রেমী সংগঠন ন্যাস এর সম্পাদক নাফসার আলি বলেন ‘‘ডুয়ার্সের বেশ কিছু এলাকাতেই বনকর্মীদের মোবাইল ইউনিট থাকলেও তা সক্রিয় নেই। তাই জঙ্গলে ঢোকার পর গুলি নয়, জঙ্গলে ঢোকার মুখেই কড়া নজরদারির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।’’ যারা এদিন পালিয়ে গিয়েছে তাদের খোঁজেও তল্লাশি জারি থাকবে বলে দাবি করেন জলপাইগুড়ি বনবিভাগের ডিএফও বিদ্যুৎ সরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy