বিস্কুট ও চানাচুরের লোভ দেখিয়ে মূক-বধির এক বালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে প্রতিবেশী এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে রায়গঞ্জের ছত্রপুর এলাকা থেকে তাকে ধরা হয়। পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম সীতারাম রায়। পেশায় দিনমজুর বছর বাইশের ওই যুবকের বাড়ি ওই এলাকাতেই। ধৃত যুবক সোমবার সন্ধ্যায় ১২ বছর বয়সী ওই বালিকাকে বিস্কুট ও চানাচুরের লোভ দেখিয়ে নিজের বাড়ির পেছনে বেড়া দিয়ে ঘেরা একটি ফাঁকা জায়গায় নিয়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ সুপার অমিত জাভালগি বলেন, “ধৃতের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে জামিন অযোগ্য ৩৭৬ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।”
ওই নাবালিকার মা অভিযুক্তকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। বিষয়টি জানতে পেরে প্রতিবাদ করায় নাবালিকার বাবা, কাকা ও জ্যাঠাকে সীতারাম ও তার বাবা খগেন্দ্রনাথ রায় লাঠিসোটা ও লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করে বলেও অভিযোগ। তাঁদের রায়গঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করেন বাসিন্দারা। ওই বালিকার বাবা, কাকা ও জ্যাঠার বিরুদ্ধেও সীতারাম ও খগেন্দ্রনাথকে মারধরের অভিযোগ ওঠে। ওই রাতে প্রথমে খগেন্দ্রনাথ ওই বালিকার বাবা, কাকা ও জ্যাঠার বিরুদ্ধে কর্ণজোড়া পুলিশ ফাঁড়িতে মারধরের অভিযোগ দায়ের করে। বুধবার ওই বালিকার বাবা হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে সীতারামের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও সীতারাম ও তার বাবা খগেন্দ্রনাথের বিরুদ্ধে মারধরের দু’টি পৃথক অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ সূত্রের খবর, ঘটনার পর সীতারাম এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়।
এ দিন সে এলাকায় ফিরলে গোপনসূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। বুধবার বিকেলে রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে ওই বালিকার ডাক্তারি পরীক্ষা করায় পুলিশ। ডাক্তারি পরীক্ষার প্রাথমিক রিপোর্টে ওই বালিকাকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। দু’পক্ষের বিরুদ্ধেই মারধরের দুটি পৃথক মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পেশায় দিনমজুর খগেন্দ্রনাথবাবুর দাবি, ষড়যন্ত্র করে ছেলেকে ও তাঁকে ধর্ষণ ও মারধরের মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে ওই বালিকার পরিবারের লোকজন। ওই বালিকার পরিজনেরাই ওই দিন বিনা কারণে তাঁদের মারধর করেন বলে তাঁর অভিযোগ। যদিও ওই নাবালিকার বাবার অভিযোগ, “সীতারাম ও তার বাবা খগেন্দ্রনাথ ধর্ষণ ও মারধরের মামলায় ফেঁসে যাওয়ায় এখন বাঁচার জন্য মিথ্যে কথা বলছে!। পুলিশি তদন্তেই আসল তথ্য বেরিয়ে আসবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy