আমানতকারীদের সাংবাদিক বৈঠক।—নিজস্ব চিত্র।
সারদা ছাড়া অন্যান্য বন্ধ বেসরকারি আর্থিক সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত এবং টাকা ফেরতের দাবিতে আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করল আমানতকারীরা। রবিবার উত্তরবঙ্গ আমানতকারী সুরক্ষা সমিতির তরফে রায়গঞ্জের বিধাননগর মোড়ে সাংবাদিক বৈঠক করে আন্দোলনের কথা জানানো হয়েছে। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে সমিতির তরফে অনির্দিষ্টকালের জন্য শিলিগুড়িতে রাজ্য সরকারের মিনি সচিবালয় উত্তরকন্যা ঘেরাও করার হুমকি দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের উপরও চাপ বাড়াতে উত্তরবঙ্গে ছয় জেলায় বিক্ষোভ মিছিল, পথসভা ও পথ অবরোধে করা হবে বলে সমিতি হুমকি দিয়েছে।
কয়েকমাস আগে শিলিগুড়িতে বিভিন্ন অর্থলগ্নি সংস্থার প্রতারিত আমানতকারী ও এজেন্টদের একাংশ উত্তরবঙ্গ আমানতকারী সুরক্ষা সমিতি নামে সংগঠন তৈরি করেন। সম্প্রতি, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, মালদহ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরেও ওই সংগঠনটি তৈরি হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। এ দিন রায়গঞ্জে সারদা ছাড়া অনান্য সংস্থার আমানতকারীদের নিয়ে সমিতির তরফে একটি কনভেনশন করা হয়। ওই কনভেনশনের পর সমিতির আহ্বায়ক তথা শিলিগুড়ির আইনজীবী অলকেশ চক্রবর্তী দাবি করেন, “সারদাকাণ্ড প্রকাশ্যে আসার পর গত এক বছরে উত্তরবঙ্গের ছয় জেলার ১২৬টি অর্থলগ্নি সংস্থা ৩ লক্ষেরও বেশি আমানতকারীর ১০ হাজার কোটি টাকা লুঠ করে পালিয়েছে। বর্তমানে প্রতিটি সংস্থারই ঝাপ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সারদার চাইতে কয়েকগুণ বেশি আমানতকারী ও এজেন্ট কম সময়ে বেশি পাওয়ার আশায় সেইসব অর্থলগ্নি সংস্থায় টাকা রেখে প্রতারিত হয়েছেন। অথচ রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের সারদা বাদে অন্যান অর্থলগ্নি সংস্থার প্রতারিত আমানতকারী ও এজেন্টদের বিষয়ে কোনও মাথাব্যথা নেই।সে কারণেই উত্তরকন্যা ঘেরাও সহ আন্দোলন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।”
সমিতির যুগ্ম সম্পাদক মৃদুল ভৌমিক ও উত্তর দিনাজপুর জেলা আহ্বায়ক বাবলু বিশ্বাস জানান, কয়েক মাস আগে রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপে শ্যামল সেন কমিশনের মাধ্যমে সারদার প্রতারিত কিছু আমানতকারী টাকা ফেরত পেয়েছেন। তাঁদের কথায়, “সারদার আমানতকারী ও এজেন্টদের টাকা ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হওয়ায় উত্তরবঙ্গে অন্য সংস্থার লক্ষ লক্ষ প্রতারিত আমানতকারী হতাশ হয়ে পড়েছেন। এজেন্টরাও প্রতিমূহূর্তে আমানতকারীদের হুমকি ও হামলার শিকার হচ্ছেন।” সমিতির অন্যতম কার্যকরী সদস্য তথা রায়গঞ্জের বাসিন্দা পেশায় বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক দীপঙ্কর চাকী অভিযোগ করে বলেন, “একটি সংস্থায় ২০১২ সালে মাসিক ৮ শতাংশ সুদের বিনিময়ে পাঁচ বছরের মেয়াদে ২ লক্ষ টাকা লগ্নি করেছিলাম। অন্য অর্থিক সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। তাই আমরা সিবিআই তদন্ত চাই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy