Advertisement
১৯ মে ২০২৪

রায়গঞ্জে সর্বদল বৈঠকে প্রশাসন

রায়গঞ্জ শহরে আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে সর্বদলীয় বৈঠক করল পুলিশ ও প্রশাসন। রায়গঞ্জ ব্লক প্রশাসন ও রায়গঞ্জ থানার উদ্যোগে সোমবার রায়গঞ্জের বিডিও দফতরে প্রায় দেড় ঘণ্টা ওই বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে বিডিও অমূল্যচন্দ্র সরকার, রায়গঞ্জ সদরের ডিএসপি শুভেন্দু মণ্ডল ও রায়গঞ্জ থানার আইসি গৌতম চক্রবর্তী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের কাছে শহরের আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ ও প্রশাসনকে সাহায্য করার অনুরোধ জানান।

নিজস্ব সংবাদদাতা
রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০১৪ ০২:০০
Share: Save:

রায়গঞ্জ শহরে আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে সর্বদলীয় বৈঠক করল পুলিশ ও প্রশাসন। রায়গঞ্জ ব্লক প্রশাসন ও রায়গঞ্জ থানার উদ্যোগে সোমবার রায়গঞ্জের বিডিও দফতরে প্রায় দেড় ঘণ্টা ওই বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে বিডিও অমূল্যচন্দ্র সরকার, রায়গঞ্জ সদরের ডিএসপি শুভেন্দু মণ্ডল ও রায়গঞ্জ থানার আইসি গৌতম চক্রবর্তী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের কাছে শহরের আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ ও প্রশাসনকে সাহায্য করার অনুরোধ জানান। ভবিষ্যতে শহরে কোনও রাজনৈতিক সংঘর্ষ, গোলমাল বা হামলার ঘটনা ঘটলে বাসিন্দাদের নিরাপত্তার স্বার্থে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও এ দিন জানিয়ে দেওয়া হয়। এ দিনের বৈঠকে ডান-বাম সব দলের প্রতিনিধিরাই উপস্থিত ছিলেন। বিডিও অমূল্যবাবু ও ডিএসপি শুভেন্দুবাবু বলেন, “রায়গঞ্জে আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখার জন্য সব রাজনৈতিক দলের কাছে সাহায্য চাওয়া হয়েছে।” এ দিন বৈঠক চলাকালীন সিপিএম ও তৃণমূলের তরফে পুলিশের কাছে সম্প্রতি হওয়া বিভিন্ন রাজনৈতিক সংঘর্ষ ও দলীয় কার্যালয় ভাঙচুরে অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়। আইসি গৌতমবাবু জানিয়েছেন, তদন্ত করে রাজনৈতিক দলের রং বিচার না করেই যথাযথ পদক্ষেপ করা হবে।

গত বৃহস্পতিবার লোকসভা ভোট চলাকালীন রায়গঞ্জের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল ও সিপিএম কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলর বরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়, রায়গঞ্জ লোকাল কমিটির সিপিএমের সদস্য তীর্থ দাস সহ দু’পক্ষের ৬ জন জখম হন। একই দিনে রায়গঞ্জের ১০ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা সিপিএমের কর্মী সমর্থকদের বাড়ি গিয়ে ভোট না দিতে যাওয়ার জন্য হুমকি দেন বলে অভিযোগ। এর পর গত শনিবার রাতে সিপিএমের রায়গঞ্জ লোকাল কমিটির সম্পাদক নীলকমল সাহা, দলের রায়গঞ্জ জোনাল কমিটির সম্পাদক বাপি ভৌমিক, এসএফআইয়ের জেলা সম্পাদক প্রাণেশ সরকার প্রমুখ একটি প্রতিনিধি দল ১০ নম্বর ওয়ার্ডে দলীয় কর্মী সমর্থকদের বাড়িতে গিয়ে তাঁদের আশ্বস্ত করতে গিয়েছিলেন। সেইসময় তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী ও সমর্থকরা তাঁদের মারধর করেন বলে অভিযোগ। এরই পাশাপাশি, সিপিএমের কর্মী সমর্থকেরা তৃণমূলের ১০ নম্বর ওয়ার্ড কমিটির কার্যালয়ে ঢুকে আসবাবপত্র ভাঙচুর করে দলীয় নথি তছনছ করেন বলেও অভিযোগ ওঠে। তবে এই দিন সিপিএম-তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে প্রশাসনকে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও, ওই দুই দলের পক্ষ থেকেই নিজের দলের কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে থাকা নানা মামলা প্রত্যাহার করার দাবি জানানো হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

rayganj bdo law
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE