Advertisement
১৯ মে ২০২৪

রতুয়ায় হামলায় অভিযুক্তকে ধরতে গিয়ে আক্রান্ত পুলিশ

হামলায় অভিযুক্ত এক ব্যক্তিকে ধরতে গিয়ে আক্রান্ত হল পুলিশ। আস্তাব আলি নামে ওই ব্যক্তি শাসক দলের এলাকার নেতা বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। গাড়ির চাকার হাওয়া খুলে অভিযুক্তকে ছিনিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার মালদহের রতুয়া থানার আশুটোলা এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
চাঁচল শেষ আপডেট: ১৮ জুলাই ২০১৪ ০২:০৮
Share: Save:

হামলায় অভিযুক্ত এক ব্যক্তিকে ধরতে গিয়ে আক্রান্ত হল পুলিশ। আস্তাব আলি নামে ওই ব্যক্তি শাসক দলের এলাকার নেতা বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। গাড়ির চাকার হাওয়া খুলে অভিযুক্তকে ছিনিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার মালদহের রতুয়া থানার আশুটোলা এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। বেগতিক দেখে পুলিশ কর্মীরা একটি গাড়ি নিয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান। পরে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে অন্য গাড়িটিকে উদ্ধার করেন। রাত পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। অবশ্য অভিযুক্তের পরিবারের তরফে পুলিশের বিরুদ্ধেই পাল্টা হেনস্থার অভিযোগ তোলা হয়েছে। রতুয়ার ওসি রাজু খোন্দকার বলেন, “তৃণমূল নেত্রীকে মারধরে অভিযুক্ত আস্তাব আলি বাড়িতে ফিরেছে খবর পেয়ে যাই। পুলিশকর্মীদের মারধর করে অভিযুক্তকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়। পুলিশের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে।” মালদহের পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দোপাধ্যায় বলেন, “অভিযুক্তদের ধরতে তল্লাশি শুরু হয়েছে।”

গত ১৩ জুন রতুয়ায় দলের কর্মিসভায় গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে ধুন্ধুমার কাণ্ড বাঁধে। তৃণমূলের জেলা কার্যকরী সভানেত্রী প্রতিভা সিংহকে মারধর করে মঞ্চ থেকে ঠেলে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ওই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা তথা রতুয়া-১ পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ ইয়াসিন আলি সহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন আশুটোলার আস্তাব আলি। আস্তাব ইয়াসিনের ঘনিষ্ঠ বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। অভিযুক্তদের ৬ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। কিন্তু ইয়াসিন,আস্তাব আলি এখনও অধরা।

পলিশ জানায়, আগেও একাধিক বার আস্তাব আলিকে ধরতে গ্রামে হানা দেওয়া হয়েছে। এ দিন আস্তাব বাড়িতে ফিরেছেন খবর পেয়ে পুলিশ হানা দেয়। ওসি রাজু খোন্দকার, এএসআই হিরা শেখ সহ পুলিশকর্মীদের নিয়ে দু’টি গাড়ি ওই এলাকায় যায়। একটি পুলিশের জিপ ও অন্যটি ভাড়ায় নেওয়া একটি ছোট গাড়ি। বাড়ি থেকে অভিযুক্ত আস্তাব আলিকে ধরে গাড়িতে তোলার আগেই পুলিশকর্মীদের ঘিরে ধরেন এলাকার বাসিন্দাদের একাংশ। তাদের মধ্যে মূল অভিযুক্ত ইয়াসিন আলির কয়েকজন ভাইও ছিলেন বলে পুলিশের দাবি। অভিযুক্তকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতেই ধ্বস্তাধ্বস্তি শুরু হয়। ওই সময় পুলিশকে মারধর করে অভিযুক্তকে ছিনিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ বাধা দেওয়ার চেষ্টা করায় তাঁদের ইট-পাথর ছোড়া হয়। পুলিশকর্মীরা গাড়িতে উঠে চলে যাওয়ার চেষ্টা করতে গিয়ে দেখেন, চাকার হাওয়া খুলে দেওয়া হয়েছে। এর পরে একটি জিপেই উঠে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান পুলিশকর্মীরা।

অভিযুক্তের স্ত্রী গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে সিপিএম প্রার্থী ছিলেন। যদিও তিনি হেরে যান। তার পরেই তৃণমূলে যোগ দেন। বর্তমানে আস্তাব কাহালা অঞ্চলের ৫ সদস্য বিশিষ্ট তৃণমূলের কমিটির অন্যতম নেতা। ব্লক তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি ফজলুল হকের দাবি, “আস্তাব ইয়াসিনের ঘনিষ্ঠ হলেও দলের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নেই।” আস্তাবের স্ত্রী আসনারা বিবি জানান, তাঁরা এখন তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত। তাঁর দাবি, “স্বামীকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে। স্বামী বাড়িতে নেই বলার পরেও পুলিশ আমাকে ও দুই মেয়েকে হেনস্থা করেছে। সে জন্যই বাসিন্দারা খেপে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান। আদালতে অভিযোগ জানাব।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

attack on police chanchal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE