রাস্তা থেকে সেতু। পানীয় জল থেকে সেচ। বিপিএল কার্ড, বাধর্ক্যভাতা থেকে শুরু করে ইন্দিরা আবাসে ঘর। অর্থলগ্নি সংস্থায় টাকা রেখে সর্বস্বান্ত হয়েও টাকা মিলছে না। মঙ্গলবার দিনভর রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের বামফ্রন্ট প্রার্থী সিপিএমের মহম্মদ সেলিমের কাছে বাসিন্দার একাংশ এমন একাধিক অভিযোগ জানালেন। সেলিম সমস্ত অভিযোগ একটি ডায়েরিতে নথিভূক্ত করে সমস্যার সমাধানে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি এ দিন সকাল ১১টা থেকে দুপুর তিনটা পর্যন্ত রায়গঞ্জ ব্লকের বাহিন ও গৌরী পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকায় ১০টি পথসভার পাশাপাশি একাধিক হাটে বাজারে ও বাসিন্দাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করেন। প্রচার চলাকালীনই বাসিন্দাদের একাংশ সেলিমের কাছে বিভিন্ন অভিযোগ জানান।
গত প্রায় তিনদশক ধরে কংগ্রেসের দখলে থাকা বাহিন গ্রাম পঞ্চায়েতটি গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বামফ্রন্ট দখল করে। গৌরী পঞ্চায়েতটি কংগ্রেসের দখলে। সেলিম বলেন, “কংগ্রেস তিন দশক ধরে ক্ষমতায় থেকেও বাহিন ও গৌরী গ্রাম পঞ্চায়েতে উন্নয়ন করতে পারেনি। ভোটের পর নির্বাচনের পর সিপিএম দুটি পঞ্চায়েতের বাসিন্দাদের উন্নয়নের স্বার্থে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেবে।” এদিন তিনি বিভিন্ন পথসভায় উন্নয়নের একাধিক প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি জয়ী হলে এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বার্থে দেড়শো বছরের বাহিন জমিদার বাড়িটিকে সংস্কার করে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দেন।
রায়গঞ্জের কংগ্রেস প্রার্থী দীপা দাশমুন্সি সেলিমের প্রচারকে গুরুত্ব দিতে চাননি। তাঁর কটাক্ষ, “বহিরাগত সেলিম পরিযায়ী পাখি হয়ে রায়গঞ্জে এসেছেন। ভোটের পর আর আসবেন কিনা সন্দেহ। ভোটের মুখে রাজনৈতিক স্বার্থে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার চালানো হচ্ছে। বামফ্রন্ট রাজ্যে ক্ষমতায় থাকাকালীন রায়গঞ্জে এইমসের ধাঁচে হাসপাতাল তৈরির জন্য জমি অধিগ্রহণ না হওয়ার বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছেন প্রার্থী।” সেলিমের অবশ্য দাবি, “ফ্রন্ট ক্ষমতায় থাকাকালীন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী গুলাম নবি আজাদকে চিঠি দিয়ে হাসপাতাল তৈরির জন্য জমি দিতে চেয়েছিলেন। কেন্দ্র সাড়া না দেওয়ায় জমি অধিগ্রহণ করা সম্ভব হয়নি।”
এদিন বাহিন পঞ্চায়েতের পকোম্বা এলাকার বাসিন্দা পেশায় চাষি সুরেন বর্মন, বাহিন সদর এলাকার বাসিন্দা পেশায় চায়ের দোকানি খগেন দাস, নারায়ণপুর এলাকার বাসিন্দা পেশায় দিনমজুর আব্বাস আলি সহ অনেকেই সেলিমবাবুর কাছে এলাকার রাস্তাঘাট সংস্কার, কুলিক নদীর উপর সেতু তৈরি-সহ এলাকায় পানীয় জল ও সেচের উন্নয়নের দাবি জানান। গৌরী পঞ্চায়েতের ধুপদুয়ার ও ছোট ভিটিহার এলাকার বাসিন্দা পেশায় দিনমজুর কাবেরি সিংহ, মালা বর্মন, পরিচারিকা মামণি সরকারেরা প্রার্থীর কাছে এ দিন নালিশ করেন, তারা কোনও সরকারি যোজনার সুবিধা পাচ্ছেন না। বিভিন্ন অর্থলগ্নি সংস্থায় ১৫ হাজার টাকা করে লগ্নি করে প্রতারিত হয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy