Advertisement
০১ মে ২০২৪
Ram Mandir Inauguration

রামমন্দির উদ্বোধনের দিনে সংহতি মিছিলে রাখতে হবে ধর্মগুরুদের, নির্দেশ তৃণমূলের রাজ্য সভাপতির

২২ জানুয়ারি হাজরা মোড় থেকে মিছিল করবেন মমতা। তার পর তা যাবে পার্কসার্কাস ময়দানে। সেখানে একটি সভাও হবে। একই ধাঁচে রাজ্যের প্রতিটি ব্লকে সংহতির বার্তা দিতে বিশেষ নির্দেশ সুব্রত বক্সীর।

On the inauguration day of Ram Mandir, clerics should be included in the TMC Solidarity Day procession, directed by state president Subrata Bakshi.

তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২৪ ১২:১২
Share: Save:

আগামী ২২ জানুয়ারি মঙ্গলবার অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধন। ওই দিনই কলকাতায় সংহতি মিছিলের ডাক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে দলের জেলা নেতৃত্বকেও সংহতি মিছিল করার নির্দেশ দিয়েছেন। এর পরেই একটি লিখিত নির্দেশ জারি করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। সেই নির্দেশে জেলা এবং ব্লকের মিছিলগুলিতে ধর্মগুরুদের শামিল করতে বলা হয়েছে। রাজ্য সভাপতির ওই লিখিতবার্তায় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, “মিছিলে সব ধর্মের মানুষের যোগদান বাঞ্ছনীয় এবং মিছিলের সামনের সারিতে ধর্মগুরুদের রাখতে হবে। যেখানে মিছিল শেষ হবে সেখানেই একটি মঞ্চ থেকে সমন্বয়ের উপর ধর্মগুরুদের বক্তৃতার আয়োজন করতে হবে।” লিখিত বার্তাটি পাঠানো হয়েছে দলের জেলা সংগঠনের সভাপতি এবং চেয়ারম্যানদের কাছে। তাঁদেরকে সেই বার্তা ব্লকে ব্লকে পৌঁছে দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

২২ জানুয়ারি রামমন্দিরের প্রাণপ্রতিষ্ঠা নিয়ে পুরী এবং উত্তরাখণ্ডের জ্যোতিষপীঠের শঙ্করাচার্যেরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তথা বিজেপির তীব্র সমালোচনা করেছেন। তাঁদের বক্তব্য, মন্দিরের প্রাণপ্রতিষ্ঠা শাস্ত্রমতে হচ্ছে না। মমতা তাঁদের মতামতকে গুরুত্ব দিয়েছেন। তাই তৃণমূলের মিছিল এবং সভায় ধর্মগুরুদের সামনের সারিতে রেখে বিজেপির মন্দিরের আড়ালের রাজনীতিকে প্রকাশ্যে আনাই তৃণমূলের লক্ষ্য, এমনটাই মনে করছে বাংলার রাজনীতির কারবারিরা। উল্লেখ্য নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে মঙ্গলবার মমতা জানিয়েছেন, ওই দিন হাজরা মোড় থেকে মিছিল শুরুর আগে কালীঘাট মন্দিরে যাবেন তিনি। মমতা বলেছিলেন, ‘‘মা কালীকে ছুঁয়ে, মন্দির, মসজিদ, গুরুদ্বার, গির্জা ছুঁয়ে, সর্ব ধর্মের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে এই মিছিল করব।’’ দলের পাশাপাশি, বৃহত্তর নাগরিক সমাজকেও শামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী। তাই বাংলার রাজনীতির কারবারীদের মতে, এ ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির বিরুদ্ধে বিভাজনের রাজনীতির অভিযোগ তুলে সম্প্রীতির বার্তা দিতেই রাজ্য জুড়ে এই সংহতি মিছিলের আয়োজন। দলনেত্রীর ঘোষণার পর সেই কর্মসূচি রাজ্যের প্রতিটি জেলা তথা ব্লকে পৌঁছে দিতে নির্দেশনামা জারি করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি। হাজরা মোড় থেকে ২২ জানুয়ারি মিছিল শুরু করবেন মমতা। তার পর তা যাবে পার্কসার্কাস ময়দানে। সেখানে একটি সভাও করবেন তিনি। একই ধাঁচে যাতে রাজ্যের প্রতিটি ব্লকে সংহতির বার্তা দেওয়া যায়, তাই এই কর্মসূচি পালনের বিষয়ে দলের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন সুব্রত। সঙ্গে জেলা ও ব্লকের মিছিলগুলিতেও ধর্মগুরুদের উপস্থিতি রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

ইতিমধ্যেই সঙ্ঘ পরিবারের ছত্রচ্ছায়ায় থাকা বিভিন্ন সংগঠন রামমন্দির উদ্বোধনের কর্মসূচিতে নানা আয়োজন করেছে। তৃণমূলের বক্তব্য, ওইদিন গেরুয়া শিবির বিভাজনের উদ্দেশে রাস্তায় নামতে চেষ্টা করবে। তৃণমূল পাল্টা মিছিল করবে সংহতির বার্তা নিয়ে। এ ক্ষেত্রে যে দলের সুস্পষ্ট একটি লাইন রয়েছে তাও চিঠির একটি অংশে বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি। তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত নির্দেশে লিখেছেন, "সংহতি মিছিলের ব্যানার, ফেস্টুন, ব্ল্যাকড্রব ইত্যাদির জন্য ডিজাইন আপনাদের কাছে আলাদা ভাবে পাঠানো হচ্ছে।" এই কর্মসূচিতে দলকে একসুরে বাঁধতে চেয়েছেন বক্সী। যাতে মুখ্যমন্ত্রীর কর্মসূচির সঙ্গে জেলাভিত্তিক কর্মসূচির সাযুজ্য বজায় থাকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE