Advertisement
০৮ মে ২০২৪
BJP Worker

Hanging Body: বিজেপিকর্মীর ঝুলন্ত দেহ বীরভূমে, নেপথ্যে কি বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক

খয়রাশোল থানার অন্তর্গত হযরতপুর গ্রামের একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে ওই বিজেপি-কর্মীর দেহ উদ্ধার হয়।

বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ।

বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
খয়রাশোল শেষ আপডেট: ০৩ অগস্ট ২০২১ ১১:৪৯
Share: Save:

বিজেপিকর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল বীরভূমে। খয়রাশোল থানার অন্তর্গত হযরতপুর গ্রামের একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে ওই বিজেপিকর্মীর দেহ উদ্ধার হয়। হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তাঁর দেহ ঝুলছিল পরিত্যক্ত বাড়িতে। গলায় ফাঁস দিয়ে ওই ব্যক্তিকে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। দেহ উদ্ধার ঘিরে তৃণমূলের দাবি, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরেই খুন হয়েছেন ওই বিজেপি কর্মী। মৃতের স্ত্রী-র গলাতেও একই সুর। যদিও বিজেপি-র দাবি, রাজনৈতিক কারণেই খুন হয়েছেন তাঁদের কর্মী। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

জানা গিয়েছে, মৃত বিজেপিকর্মীর নাম ইন্দ্রজিৎ সূত্রধর। তাঁর বাড়ি হয়রতপুর গ্রামেই। বিজেপি-র বুথ সভাপতিও ছিলেন তিনি।

ইন্দ্রজিতের মৃত্যুর খবর পেয়ে তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন দুবরাজপুরের বিজেপি বিধায়ক অনুপ সাহা। বীরভূমের বিজেপি জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেছেন, ‘‘রাজনৈতিক কারণেই খুন হয়েছেন ইন্দ্রজিৎ। ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের গ্রেফতার করুক পুলিশ।’’ যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেছেন, ‘‘এই মৃত্যুর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই।’’ বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরেই ইন্দ্রজিৎ খুন হয়েছেন বলে দাবি তাঁর। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের বিষয়টি আরও জোরালো হয়েছে মৃতের স্ত্রী পূজা সূত্রধরের বয়ানে। পূজা বলেছেন, ‘‘দু’দিন আগেই ইন্দ্রজিৎ কলকাতা থেকে যাবে বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। তার পর শুনি গ্রামের একটা মেয়েকে নিয়ে পালিয়েছে। সকালে ওর দেহ উদ্ধার হয়েছে।’’

দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে খয়রাশোল থানার পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

police Hanging Body BJP Worker khayrasole
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE