খবর ছিল, রামপুরহাট থানার কাঁদুরি ও মাটিমহল এলাকায় চোলাই মদ তৈরি ও বিক্রি করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সেখানে অভিযানে গিয়ে আক্রান্ত হলেন আবগারি দফতরের রামপুরহাট মহকুমার ডেপুটি এক্সাইজ কালেক্টর সুহৃদ রায়। কমবেশি জখম হয়েছেন রামপুরহাটের অফিসার-ইন-চার্জ শক্তিপদ মুদি-সহ জনা তিনেক কর্মী। গ্রামের মধ্যেই তাঁদের ঘণ্টাখানেক আটক করে রাখা হয় বলেও অভিযোগ।
অভিযানে যাওয়া এক আবগারি কর্মী জানালেন, কাঁদুরি গ্রামের বিকাশ লেটের বাড়িতে প্রথমে অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে ১০ লিটার চোলাই উদ্ধার করা হয়। বেআইনি মদের কারবারের অভিযোগে বিকাশকে দফতরের গাড়িতে তোলা হয়। গোলমালের শুরু এখানেই। ওই কর্মীর কথায়, ‘‘কেন তাঁকে গাড়িতে তোলা হল, তার কৈফিয়ত তলব করেন কিছু গ্রামবাসী। তারপরে ওরাই বিকাশকে গাড়ি থেকে জোর করে নামিয়ে নেয়।’’ েবাধা দিতে গিয়ে এক আবগারি কর্মীকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
সুহৃদবাবু বলেন, ‘‘আমাদের কর্মীকে মারধর করছে দেখে কয়েক জনে মিলে ওকে ছাড়াতে যাই। তখন উত্তেজিত গ্রামবাসীর একাংশ আমাদের প্রতি চড়াও হয়। আমাদের দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখে।’’ খবর পেয়ে দ্রুত রামপুরহাট থানার পুলিশ পৌঁছে আবগারি কর্তা-সহ কর্মীদের উদ্ধার করে। সময়ে পুলিশ না পৌঁছলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হত বলে আশঙ্কা সুহৃদবাবুর।
আবগারি কর্মীদের আবার অভিযোগ গ্রামবাসীকে উত্তেজিত করেছেন এলাকার তৃণমূল নেতা পরেশ চট্টোপাধ্যায়। মারধরও তাঁর উপস্থিতিতে হয়েছে। সে অভিযোগ মানতে চাননি বনহাট অঞ্চলের দাপুটে এই তৃণমূল নেতা। তাঁর কথায়, ‘‘এলাকায় বেআইনি মদের কারবার বন্ধ হোক আমরাও চাই। কিন্তু অভিযানের নামে এলাকার ব্যবসায়ী সুভাষ সাহাকে মারধর করে আবগারি কর্মীরা। এর প্রতিবাদ করেন গ্রামবাসী। তবে কাউকে মারধর করা হয়নি।’’ শুক্রবার রাত পর্যন্ত এই ঘটনায় আবগারি দফতরের তরফে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy