সাঁইথিয়ায় হাসপাতাল উদ্বোধন। — নিজস্ব চিত্র।
গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে স্টেট জেনারেলের অনুমোদন মিলেছিল ২০১৭ সালে। বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে নবান্ন থেকে ভার্চুয়ালি সাঁইথিয়ার সেই হাসপাতালের উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এ দিন সাঁইথিয়া হাসপাতালের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন জেলাশাসক বিধান রায়, সিএমওএইচ হিমাদ্রি আড়ি, বিএমওএইচ নাসির ইকবাল, বিডিও সৈকত বিশ্বাস, বিধায়ক নীলাবতী সাহা, পুরসভার চেয়ারম্যান বিপ্লব দত্ত প্রমুখ। সাঁইথিয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র যখন গ্রামীণ হাসপাতালে উন্নীত হয় তখন থেকেই ওই হাসাপাতালের উপরে সাঁইথিয়া সহ লাগোয়া লাভপুর, মহম্মদবাজার, ময়ূরেশ্বর ২ ব্লক এলাকার বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দারা নির্ভরশীল। সেই চাপ উত্তরোত্তর বাড়তে থাকলে গ্রামীণ থেকে স্টেট জেনারেল হাসপাতালের দাবি ওঠে। এলাকার বিধায়ক নীলাবতি সাহাও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সেই দাবি জানান। সেই দাবি মেনে ২০১৭ সালে মুখ্যমন্ত্রী বিধায়ককে চিঠি লিখে স্টেট জেনারেল হাসপাতাল অনুমোদনের কথা জানান।
এ দিন মুখ্যমন্ত্রী সেই হাসপাতালের উদ্বোধন করায় খুশি বাসিন্দারা। ময়ূরেশ্বরের কুণ্ডলা গ্রামের বাসিন্দা স্কুলশিক্ষক সুব্রত মুখোপাধ্যায়, কোটাসুরের বিকাশ মণ্ডলরা বলছেন, ‘‘রোগবালাই হলেই আমাদের সিউড়ি বা রামপুরহাট ছুটতে হয়। সাঁইথিয়ায় ওই পরিষেবা পেলে শুধু আমাদেরই নয়, বহু মানুষের খুব উপকার হবে।’’
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রেই জানা গিয়েছে, ১০০ শয্যার ওই হাসপাতালে ধীরে ধীরে বিভিন্ন বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অধীনে জরুরি বিভাগে ২৪ ঘণ্টা পরিষেবা মিলবে। খোলা হবে ব্ল্যাড ব্যাঙ্ক ও ময়নাতদন্তের জন্য মর্গ। রোগীর আত্মীয়দের রাত্রিবাসের জন্য ঘরের সঙ্গেই মিলবে সরকারি মূল্যে ক্যান্টিনের খাবার। বিধায়ক নীলাবতী সাহা জানিয়েছেন, সমস্ত পরিষেবা ধীরে ধীরে চালু হবে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চেষ্টা করা হবে। জেলাশাসক বিধান রায় জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী একই সঙ্গে সিউড়ি সদর হাসপাতালে পাবলিক হেলথ ল্যাবরেটরির উদ্বোধন করেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy