আর দেব? শিরকাবাদে রবিবার তোলা নিজস্ব চিত্র।
মাওবাদী জঙ্গিদের দমনে পুরুলিয়ায় নিয়ে আসা নাগা জওয়ানরা বার বার বিতর্কে জড়িয়েছেন। সম্প্রতি আড়শা ও বাঘমুণ্ডিতে এক সপ্তাহের মধ্যে পরপর দু’টি গোলমালে নাগা জওয়ানরা জড়িয়ে পড়ায় যথেষ্ট বিব্রত হতে হয় জেলা পুলিশকে। তখনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, নাগা জওয়ানদেরও পুলিশের মতোই জনসংযোগে নামানো হবে। এলাকার বাসিন্দাদের কাছে টানতে রবিবার অন্য ভূমিকায় দেখা গেল নাগা জওয়ানদের।
এ দিন স্থানীয় মানুষজনের সঙ্গে ম্যারাথন দৌড়, পাত পেড়ে খিচুড়ি ভোজন, স্থানীয় মানুষজনের কাছে চিকিত্সা পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার মতো নানা কর্মসূচিতে হাত লাগালেন সেই নাগা জওয়ানেরা। উদ্যোক্তা নাগা বাহিনী ও জেলা পুলিশ। এদিন আড়শা থানা এলাকার আহাড়রা মোড় থেকে শিরকাবাদ অবধি ম্যারাথন দৌড়ের আয়োজন করেছিল এই বাহিনী। সকালে এলাকার যুবকেরা তাতে যোগ দেন। উল্লেখ্য এই রাস্তার উপরেই দুই নাগা জওয়ানের বিরুদ্ধে গত সপ্তাহে এলাকার এক মানসিক সমস্যা থাকা যুবককে মারধর করার অভিযোগ উঠেছিল। নাগা বাহিনীর দুই জওয়ানকেও স্থানীয় বাসিন্দারা মারধর করেছিলেন।
এ দিনই অযোধ্যা পাহাড়ের নীচে শিরকাবাদ আশ্রমে চিকিত্সা শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, এলাকার বিভিন্ন গ্রামের সাতশোরও বেশি মানুষ এ দিন এই শিবিরে এসেছিলেন। ছিল খিচুড়ি ও চাটনি সহযোগে মধ্যাহ্নভোজনেরও। পরিবেশন করতে দেখা যায় নাগা জওয়ানদের। যে নাগা জওয়ানদের বিরুদ্ধে অভিযোগে সরব হয়েছিলেন এলাকার বাসিন্দারা সেই এলাকার বাসিন্দাদের হাসিমুখে জওয়ানদের ডাকে শিবিরে আসতে দেখে স্বস্তি পেয়ে জেলা পুলিশ। হাসি ফুটেছে নাগা জওয়ানদের মুখেও। ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার রূপেশ কুমার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য, ডিএসপি (শৃঙ্খলা ও প্রশিক্ষণ) কুন্তল বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ।
এসপি বলেন, “এমন কর্মসূচি আরও নেওয়া হবে। এতে নাগা জওয়ান ও বাসিন্দাদের মধ্যে সম্পর্ক আরও ভাল হবে।” শিবিরে আসা অনেকের মত, জওয়ানরা তাঁদের সঙ্গে খেলে ভাল হত। এসপি বলেন, “ভবিষ্যতে এ ব্যাপারে খেয়াল রাখব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy