পুরসভার কর্মীদের ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে আন্দোলনের ডাক দিল বিজেপি, সিপিএম এবং কংগ্রেস। তিন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে আজ সোমবার তাঁদের নির্বাচিত কাউন্সিলরগণ-সহ কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে পুরসভায় একটি বিক্ষোভ মিছিল করার কথা। তিনটি রাজনৈতিক দল থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, পুর-কর্মী ছাঁটাই এর প্রতিবাদে পুরসভার পুরপ্রধানের কাছে কেন ছাঁটাই করা হল সে ব্যাপারে জবাবদিহি চাওয়া হবে। সে জন্য রবিবার বিকালে শহরের তিন জায়গায় আলাদা করে আন্দোলনের সমর্থনে পথসভা করে তারা।
এ দিন বিকালে রামপুরহাট ডাকবাংলা পাড়া মোড়ে প্রথম পথসভাটি করে সিপিএম। সেখানে বক্তব্য রাখেন সিপিএমের জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য সঞ্জীব বর্মণ-সহ অন্যান্য স্থানীয় নেতৃত্ব। সঞ্জীববাবু বলেন, ‘‘তৃণমূল পরিচালিত পুরসভা তুঘলকি রাজ কায়েম করতে চাইছে। রামপুরহাটের সাধারণ মানুষ তা হতে দেবে না। তাই আমরা তৃণমূলের এই অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিক্ষোভ আন্দোলনের ডাক দিয়েছি।’’
রামপুরহাট পাঁচমাথা মোড়ে কংগ্রেস ও সন্ধ্যায় রামপুরহাট কামারপট্টি মোড়ে বিজেপির পক্ষ থেকে পথসভা করা হয়। কংগ্রেসের সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা আইএনটিইউসি-র জেলা সভাপতি মিল্টন রসিদ এবং পুরসভার কংগ্রেসের দুই কাউন্সিলর সুদেব দাস ও জামালউদ্দিন সেখ। বিজেপির পথসভায় ছিলেন দলের চার কাউন্সিলর। ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শুভাশিস চৌধুরী বলেন, ‘‘পুরসভার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আমাদের আন্দোলন।’’
বিরোধীদের এই আন্দোলনের প্রশ্নে পুরপ্রধান তৃণমূলের অশ্বিনী তিওয়ারি বলেন, ‘‘২২ জন অস্থায়ী কর্মীর বেতন বন্ধ কেন করা হয়েছে। তার জবাবদিহি করতে আমরা প্রস্তুত আছি।’’ কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘটনার সঙ্গে জড়িয়েছে শাসক দলের মন্ত্রী তথা এলাকার বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। তিনি বলেন, ‘‘না জেনে আমার নাম যাঁরা তুলছেন তাঁদের ওই সমস্ত ছেঁদো কথার জবাব কি দেবো? পুরসভার ব্যাপার পুরসভা জবাব দেবে। এখানে দলের কি সিদ্ধান্ত সেটা দলীয় ব্যাপার।’’
হাতির হামলা। বাঁকুড়া থেকে পুরুলিয়ার সাঁতুড়িতে ঢুকে উপদ্রব শুরু করছে একটি দাঁতাল। শনিবার সন্ধ্যায় শালতোড়া থানার তিলুড়ি থেকে হাতিটি চলে আসে সাঁতুড়ির লেদিয়াম গ্রামে। বনদফতর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাত থেকে রবিবার দুপুর পর্যন্ত হাতিটি দু’টি কাঁচা ও একটি দোকান ভেঙেছে। রঘুনাথপুরের রেঞ্জ অফিসার সোমনাথ চৌধুরী বলেন, ‘‘পূর্ণবয়স্ক দাঁতালটি কিছু ক্ষয়ক্ষতি করেছে। আপাতত বনকর্মীরা তার গতিবিধির দিকে নজর রাখছে। আমরা চেষ্টা করছি হাতিটিকে লোকালয় থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে। পরে হুলাপার্টি এনে তাড়ানোর কাজ শুরু করা হবে।” সম্প্রতি মেজিয়ার জঙ্গল থেকে দু’টি রেসিডেন্ট হাতি শালতোড়া থানার তিলুড়ি বিট এলাকায় আসে। তারপরেই হাতির হামলায় একজনের মৃত্যু হয়। বনদফতরের আশঙ্কা, তিলুড়িতে থাকা হাতি দু’টির মধ্যে একটি সাঁতুড়িতে ঢুকে পড়েছে। শনিবার হাতিটিকে দণ্ডহিত গ্রামের পাহাড়ে দেখা যায়। রাতে সেখান থেকে নেমে লেদিয়াম গ্রামেদুই বাসিন্দার কাঁচা বাড়ির দেওয়াল ভেঙে ধান খেয়ে যায় হাতিটি। পরে ওই গ্রামেই একটি দোকানের দরজা ভেঙে এক বস্তা আলু খায় হাতিটি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy