পুর এলাকার মধ্যে অবাধে গরু, ছাগল, মুরগির মাংস বিক্রি বন্ধ করার জন্য পুরপ্রধানের কাছে স্মারকলিপি দিল বিজেপির যুব মোচার্। মঙ্গলবার দুপুরে যুবমোর্চার সমর্থকরা রামপুরহাট কামারপট্টি মোড় লাগোয়া বিজেপির দলীয় কার্যালয় থেকে রামপুরহাট পুরসভা ভবন পর্যন্ত মিছিল করে। নতুন জল প্রকল্পে বিপিএলদের পানীয় জল, যত্রতত্র জঞ্জাল ফেলা, জমা জল সরানো সহ পুর এলাকার বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে কতৃপক্ষ কেন উদাসীন তার জবাব চেয়ে শ্লোগান দেন যুবমোর্চার কর্মীরা। পরে দাবি গুলি নিয়ে পুরসভার পুরপ্রধানের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন তাঁরা।
রামপুরহাট বিজেপির শহর যুব মোর্চার সভাপতি শান্তনু মণ্ডল, যুব মোর্চার জেলা নেতা তরুণ সরকারদের অভিযোগ, পুর এলাকার বিনা লাইসেন্সে খোলা মেলা ভাবে অবাধে পশু হত্যা করে তার মাংস বিক্রি করা হচ্ছে। এতে শিশু মনে নানান বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করছে। যুব মোর্চার তরফে অবাধে প্রকাশ্য রাস্তায় ওই ভাবে মাংস বিক্রি বন্ধ করার জন্য পুরপ্রধানের কাছে আবেদন করা হয়। পুরপ্রধান অশ্বিনী তিওয়ারি বলেন, “এর আগেও কিছু কিছু এলাকা থেকে আমার কাছে এই ধরণের অভিযোগ এসেছে। আমি দোকানদের সঙ্গে আলোচনায় বসে অন্য বিকল্প কিছু করা যায় কিনা দেখব।” পুরপ্রধান বলেন, নতুন জলপ্রকল্পের মাধ্যমে দুটো পুরনো এবং নতুন জল প্রকল্পের মাধ্যমে বর্তমানে জল সরবরাহ করা হচ্ছে। এর ফলে জল সরবরাহে সাময়িক ভাবে কিছু দিনের জন্য পরিষেবায় বিঘ্ন ঘটছে। পুরনো পাইপ লাইনের সংযোগ কেটে নতুন পাইপ লাইনের সংযোগ করে দেওয়ার কাজ প্রায় শেষ হওয়ার মুখে। শেষ হয়ে গেলে জলসরবরাহে ব্যঘাত ঘটবে না বলে তিনি আশ্বাস দেন। যুবমোর্চার সমর্থকরা শহরের ভিতরে স্কুলের সামনে, প্রধান রাস্তার ধারে জঞ্জাল ফেলায় পরিবেশ দূষিত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। তাঁরা জানান, শহর ঢুকতে সানঘাটা সেঁতুর দু’ধারে শহরের সব জঞ্জাল ফেলা হচ্ছে। ওই রাস্তার উপর দিয়ে তারাপীঠে কলকাতা সহ বাইরে থেকে অনেক মানুষ যাতায়াত করেন। যাতায়াতের পথে রামপুরহাট শহর ঢোকার মুখে জঞ্জাল দেখে রামপুরহাট পুরসভার পুর-পরিকল্পনা বিষয়ে পুরসভার উদাসীন মনোভাবকে দায়ী করেন বিজেপির জেলা সহ সভাপতি শুভাশিস চৌধুরী।
রামপুরহাট শহরের নিকাশি ব্যবস্থা নিয়েও এ দিন বিজেপির যুব মোর্চার কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাঁদের অভিযোগ, বলেন ৯ নম্বর ওয়ার্ডে লোটাস প্রেস মোড়ের গলির রাস্তা, ৮নম্বর ওয়ার্ডে হাই রোডের ধারে টাইগার মিলের গলির রাস্তায় নিকাশি ব্যবস্থার ত্রুটিতে অল্প বৃষ্টিতে জল জমে যায়। বর্ষার সময় পরিস্থিতি খারাপ হয়। পুরপ্রধান লোটাস প্রেস মোড়ের গলির রাস্তায় জমা জল সরানোর জন্য পুরসভা আলাদা করে একটি পাম্পিং স্টেশন করার কথা ভাবছে বলে জানান। তিনি বলেন, “শহরে জায়গায় জায়গায় শৌচাগার তৈরির পরিকল্পনা থাকলেও জায়গার অভাবে করা যাচ্ছে না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy