Advertisement
১৭ মে ২০২৪
singur

সিঙ্গুর নিয়ে মমতা ও বিজেপি-কে একই বন্ধনীতে বসাল সিপিএম

সিপিএমের পলিটব্যুরোর সদস্য মহম্মদ সেলিম বলেন, "বাংলার শিল্প সম্ভাবনার ভ্রূণ হত্যা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর বিজেপি তাতে দাইমার ভূমিকা পালন করেছে।"

শিল্পস্থাপনে বাধা প্রসঙ্গে আক্রমণ মহম্মদ সেলিমের।—নিজস্ব চিত্র

শিল্পস্থাপনে বাধা প্রসঙ্গে আক্রমণ মহম্মদ সেলিমের।—নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২০ ২১:২১
Share: Save:

সিঙ্গুরে শিল্প স্থাপনে বাধা প্রসঙ্গে মমতা ও বিজেপি-কে একই বন্ধনীতে বসাল সিপিএম। সিপিএমের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিজেপি-র জন্যই এ রাজ্যে শিল্প তৈরির সম্ভাবনা নষ্ট হয়েছে। এ প্রসঙ্গে শুক্রবার সিপিএমের পলিটব্যুরোর সদস্য মহম্মদ সেলিম বলেন, "বাংলার শিল্প সম্ভাবনার ভ্রূণ হত্যা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর বিজেপি তাতে দাইমার ভূমিকা পালন করেছে।"

সেলিমের দাবি, বামফ্রন্টের আমলে যতগুলো জায়গা শিল্পের জন্য চিহ্নিত করা হয়েছিল, ১০ বছরে সেই সব জায়গা শ্মশানে পরিণত হয়েছে। আগে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পগুলো আসছিল, এখন তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। শুধু সিঙ্গুরে গাড়ি কারখানা নয়, পূর্ব ভারতের মধ্যে অটো শিল্পের একটা হাব তৈরি হতে পারত পশ্চিমবঙ্গ। কিন্তু বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে সেই সম্ভাবনা নষ্ট করে দিয়েছে তৃণমূল। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিঙ্গুর-সহ রাজ্যে তিনটি শিল্প প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেন। সিঙ্গুরে ১১ একর জমিতে কৃষি-শিল্প পার্ক হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। মমতার ওই ঘোষণা প্রসঙ্গে সেলিম কটাক্ষ, এটা কোনও নতুন কথা নয়। ২০১১ সালে তৃণমূলের ইস্তাহারে এই কথাগুলো ছিল। তাছাড়া এর আগে সিঙ্গুরে তিনি সর্ষে চাষ, শসা চাষ করবেন বলেছিলেন। আর এখন শিল্প করবেন বলছেন। কৃষকদের স্বার্থ মাথায় রেখে তাহলে তখন শিল্পের বিরোধিতা করেছিলেন কেন?

দিল্লি সীমানায় চলতি কৃষক আন্দোলন নিয়েও বিজেপি ও তৃণমূলের সমালোচনা করেন সেলিম। তাঁর মতে, তিনটি কৃষক আইন বাতিলের দাবিতে যে ধর্মঘট ডাকা হয়েছিল তাতে তৃণমূল অংশগ্রহণ করেনি। বিজেপি ও আরএসএসের সঙ্গে তৃণমূলও এই ধর্মঘটের বিরোধিতা করেছে। কৃষক আন্দোলন নিয়ে বিজেপি বারবার দাবি করে এসেছে এই আন্দোলনের পেছনে বামপন্থীদের হাত রয়েছে। সরকার আলোচনার কথা বললেও রাজি হয়নি। বিজেপি-র ওই দাবিকে নস্যাৎ করে একাধিক প্রশ্ন তোলেন সেলিম। তিনি বলেন, "এখন কেন আলোচনার জন্য ডাকা হচ্ছে? অর্ডিন্যান্স ও বিলকে আইনে পরিণত করার আগে কেন সরকার কৃষক সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনা করল না? আলোচনা ছাড়াই ক্ষমতার জোরে কেন সংসদে কৃষি বিল আইনে পরিণত করা হল?" একইসঙ্গে সেলিমের অভিযোগ, বিজেপির নির্বাচনী তহবিলের জন্য চেম্বার অফ কমার্সের প্রতিনিধি, বিদেশি লগ্নিকারী ও কর্পোরেটদের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন মোদী। কিন্তু কৃষি আইন নিয়ে কৃষকদের সঙ্গে কোনও আলোচনা করেননি তিনি।

আরও পড়ুন :সিঙ্গুরে অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক, মমতাকে আক্রমণে দিলীপ-মুকুল-সব্যসাচী

আরও পড়ুন :বাড়ি বিতর্কে চিঠি লিখে অমর্ত্যের পাশে দাঁড়ালেন ‘বোন এবং বন্ধু’ মমতা

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE