অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। — নিজস্ব চিত্র।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ‘জনসংযোগ যাত্রা’ কর্মসূচিতে রক্ত দান করলেন বুধবার। তৃণমূলের ওই কর্মসূচি অন্তিম পর্যায়ে পৌঁছেছে। সব ঠিক থাকলে আগামী শুক্রবার কাকদ্বীপে এই কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক। তার আগে বুধবার জয়নগরে এসে রক্তদান শিবিরে যোগ দিলেন তিনি। করলেন রক্ত দানও।
বুধবার দুপুরে বারুইপুর-পূর্ব বিধানসভা থেকে ‘জনসংযোগ যাত্রা’ কর্মসূচি শুরু করেন অভিষেক। সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথাও বলেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের জয়নগরে আসাকে স্মরণীয় করতে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। সেই শিবিরে যাওয়ার কথাও ছিল অভিষেকের। কিন্তু তিনি যে রক্ত দান করবেন, তা কেউই জানতেন না।
বারুইপুরের কর্মসূচি শেষে জয়নগরে পৌঁছন অভিষেক। সেখানে পায়ে হেঁটে মিছিলে ঢোকার সময় সাধারণ মানুষের দিকে হাত নাড়েন। রক্তদান শিবিরে পৌঁছলে তাঁকে স্বাগত জানান জয়নগরের বিধায়ক বিশ্বনাথ দাস ও মন্দিরবাজারের বিধায়ক জয়দেব হালদার। পরিদর্শন করতে করতেই অভিষেক জানতে চান, রক্ত দান করতে চাইলে কোথায় আবেদন করতে হবে। উপস্থিত নেতা-কর্মীরা তাঁকে জানান, আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে তবে রক্তদান করা সম্ভব। এর পরেই রক্তদানের জন্য স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে আবেদনপত্র পূরণ করে রক্ত দিতে যান অভিষেক।
অভিষেক-সহ মোট ২৮০ জন রক্তদান এই শিবিরে রক্তদান করেন। রক্তদানের পর নেতা-কর্মীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে জয়নগর এলাকার একটি দোকানে গিয়ে চা খান তিনি। সেখানেও স্থানীয় জনতার সমস্যার কথা শোনেন। পরে সেখান থেকেই পরবর্তী কর্মসূচির উদ্দেশে রওনা হন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ।
রাতে জয়নগরের রক্তদান শিবিরে রক্তদানের অভিজ্ঞতার কথা স্মরণ ফেসবুকে লেখেন অভিষেক। তিনি লেখেন, ‘‘জনসংযোগ যাত্রার সৌজন্যে এক মহান আয়োজনের সাক্ষী থাকতে পেরে আমি কৃতার্থ! আজ, যাত্রার ৪৯তম দিনে বিশ্ব রক্তদাতা দিবসে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরে একটি রক্তদান শিবিরে উপস্থিত হওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল।’’ তিনি আরও লেখেন, ‘‘রক্তদান, মহৎ দান! এই মহৎ কার্যের শরিক হতে পেরে আজ নিজেকে কৃতার্থ মনে করছি। আমার সঙ্গে সঙ্গে যাঁরা আজ নিজেদের রক্তদান করলেন তাঁদের সকলকে আমার শত কোটি প্রণাম!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy