গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ছাত্রের মৃত্যু, ফের বদল টিএমসিপি জেলা সভাপতি। ফাইল চিত্র।
গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ছাত্রের মৃত্যুতে নড়েচড়ে বসল তৃণমূল নেতৃত্ব। ভেঙে দেওয়া হল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (টিএমসিপি) জেলা কমিটি। সরাসরি বহিষ্কার করা হল সংগঠনের জেলা সভাপতি সাবির সাহা চৌধুরীকে। তৃণমূল মহাসচিব তথা রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় রবিবার এ কথা জানিয়েছেন।
কোচবিহারের দিনহাটা কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র অলকনিতাই দাস বৃহস্পতিবার আক্রান্ত হয়েছিলেন কলেজের সামনেই। অলকনিতাই তৃণমূল যুব কংগ্রেসের কর্মী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই তাঁকে আক্রান্ত হতে হয় বলে অভিযোগ ওঠে। তাঁকে লোহার রড দিয়ে মারা হয়েছিল। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে কোচবিহারের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়। ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল অলকনিতাইকে। কিন্তু চেষ্টা সফল হয়নি। শনিবার নার্সিংহোমেই মৃত্যু হয় তাঁর।
অলকনিতাই দাসের মৃত্যুতে গ্রেফতার করা হয়েছিল পাঁচ জনকে। নাম জড়িয়েছিল জেলা টিএমসিপি সভাপতি সাবির সাহা চৌধুরীর। তিনি দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহের ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত। উদয়নবাবু গোড়া থেকেই সাবিরের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নস্যাৎ করছিলেন। অভিযোগ উঠলেই অপরাধ প্রমাণিত হয় না বলেও তিনি মন্তব্য করেছিলেন। কিন্তু সে যুক্তিতে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব যে কান দিলেন না, তা স্পষ্ট হয়ে গেল রবিবার। দলের তরফে ছাত্র সংগঠন দেখভালের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন, সাবির সাহা চৌধুরীকে সরানো হচ্ছে টিএমসিপির জেলা সভাপতি পদ থেকে। সংগঠন থেকেও বার করে দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ম্যাথুকে ২ কোটি পাঠাতে হবে হংকং-এ...! ফের ফাঁস ‘মুকুল-কৈলাস’ ফোনালাপ
জেলা টিএমসিপি-কে অবশ্য নেতৃত্বহীন করে রাখা হচ্ছে না। রবিবার রাতের মধ্যেই জেলা টিএমসিপির নতুন কমিটি দায়িত্ব নেবে বলে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন। এত দিন জেলা কমিটির সহ-সভাপতি পদে যিনি ছিলেন, সেই সায়নদীপ গোস্বামী টিএমসিপির নতুন জেলা সভাপতি হতে পারেন বলে তৃণমূল সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: একই পদে ফের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন
বৃহস্পতিবারের ঘটনার আগেও কোচবিহারে তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল মারাত্মক চেহারা নিয়েছে। মাস তিনেক আগে কোচবিহার শহরে খুন হয়েছিলেন মাজিদ আনসারি নামে এক পড়ুয়া তথা টিএমসিপি কর্মী। শনিবার সেই জেলাতেই আরও এক ছাত্রের প্রাণ গেল।
(পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার খবর এবং বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাংলায় খবর পেতে চোখ রাখুন আমাদের রাজ্য বিভাগে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy