ফাইল চিত্র।
তালিকায় এত দিন থাকতেন মূলত সেলিব্রিটি এবং বিশিষ্টেরা। এ বার প্রাক্তন আমলা ও পুলিশকর্তা থেকে চাকরিরত সরকারি চিকিৎসক— অনেককেই ‘বঙ্গ’ সম্মান দিতে চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বছর রাজ্যের সর্বোচ্চ সরকারি খেতাব ‘বঙ্গবিভূষণ’-এর জন্য নির্বাচিত হয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যসচিব সমর ঘোষ। কর্মরত সরকারি চিকিৎসক অভিজিৎ চৌধুরী পাচ্ছেন ‘বঙ্গভূষণ’।
২০১১ থেকেই মমতা যখন এই পুরস্কার চালু করেন, সমরবাবু তখন মুখ্যসচিব। অবসরের পরে এখন তিনি রাজ্যের প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের সদস্য। পছন্দের অফিসার সমরবাবুকে অবসরের পরেও তিন মাস ছাড়েননি মুখ্যমন্ত্রী। চেয়েছিলেন আরও তিন মাস তিনি মুখ্যসচিব থাকুন। তা হয়নি। এ বার কাজের ‘স্বীকৃতি’ হিসেবেই তাঁকে এই সম্মান।
আরও পড়ুন: গরিব-কল্যাণে মন দেবেন ঠাকুরভক্ত পিনাকী
অনেকের মতে, নবান্নের এই ভাবনার নেপথ্যে অন্য কারণও রয়েছে। প্রাক্তন আমলাকে সর্বোচ্চ খেতাব দেওয়া হলে অফিসারদের সামনে তা গৌরবের দৃষ্টান্ত হবে। প্রাক্তন পুলিশকর্তা, অশীতিপর অরুণপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কেও বঙ্গবিভূষণ দিয়ে বাহিনীকে বার্তা দিতে চায় সরকার। যেমন অভিজিৎবাবুকে সম্মান দিয়ে উৎসাহিত করা হচ্ছে সরকারি চিকিৎসকদের। প্রবীণ চিকিৎসক ধীমান গঙ্গোপাধ্যায়ও পাচ্ছেন বঙ্গবিভূষণ। সম্প্রতি একটি অভিযোগ ঘিরে ধীমানবাবুকে যে ভাবে বিতর্কে জড়ানো হয়েছিল, প্রশাসনের শীর্ষ মহল তা ভাল ভাবে নেয়নি। চিকিৎসকেরা অনেকেই প্রতিবাদ করেছিলেন। ফলে সামগ্রিক ভাবে চিকিৎসকদের ‘মন’ জয় করতে চান মুখ্যমন্ত্রী। বঙ্গবিভূষণের তালিকায় এ বার সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কেও রেখেছেন মমতা। সৌমিত্রবাবু ঘোষিত ভাবেই মমতার ঘনিষ্ঠ বৃত্তে নেই। তবু তাঁকে বেছে নিয়ে ‘আমরা-ওরা’ দাগ মোছার ইঙ্গিত দিতে চান মুখ্যমন্ত্রী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy