বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ি ছবি সৌজন্যে রয়টার্স।
কাজ সেরে সবে বাড়ি ফিরেছিলেন কাবুলের বাসিন্দা জেমারি আহমদি। তাঁর গাড়ি দেখে জড়ো হয়েছিলেন পরিবারের সদস্যরা। বেশ কয়েক জন শিশুও ছিল সেখানে। হঠাৎ বিকট শব্দে কেঁপে উঠল এলাকা। কালো ধোঁয়ায় ভরে গেল কাবুলের সঙ্কীর্ণ গলি। ধোঁয়া কমতে দেখা গেল চার দিকে ছড়িয়ে পড়ে রয়েছে বেশ কয়েকটি দেহ। রবিবার সন্ধ্যায় কাবুলে আমেরিকার মিসাইল হামলার এমনই অভিজ্ঞতার কথা নিউইয়র্ক টাইমস-কে জানিয়েছেন জেমারির মেয়ে সামিয়া আহমদি।
সামিয়া বলেন, ‘‘আমি একটু দূরে দাঁড়িয়ে ছিলাম। বাবার গাড়ি ঢুকতেই বাচ্চারা সবাই ঘিরে ধরল। আমাদের যৌথ পরিবার। তাই সেই সময় উঠোনে অনেকেই ছিল। হঠাৎ বিস্ফোরণ। প্রথমে ভেবেছিলাম তালিবান হামলা করেছে। পরে জানতে পারি আমেরিকা মিসাইল হামলা চালিয়েছে।’’ স্থানীয় সূত্রে দাবি করা হয়েছে, বিস্ফোরণের পরে গাড়ির মধ্যেই কয়েক জনের মৃত্যু হয়। আহতদের সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখানেও কয়েক জন মারা যান। সব মিলিয়ে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে সাত জন শিশু। সবাই একই পরিবারের।
যদিও সামিয়ার দাবি অনুযায়ী আমেরিকার মিসাইল হামলাতেই সেই ঘটনা ঘটেছে কি না তা নিয়ে তালিবান বা আমেরিকার তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। কাবুলে মিসাইল হামলায় সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে বলে জানিয়েছে পেন্টাগন। সেখানকার মুখপাত্র জন এফ কিরবি বলেন, ‘‘মিসাইল হামলায় মানববোমা নিহত হয়েছে। সেই হামলায় সাধারণ মানুষেরও মৃত্যু হতে পারে। আমরা নিশ্চিত নই। এই বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।’’
এ দিকে ৩১ অগস্টের নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যেই আফগানিস্তান ছেড়েছে আমেরিকার সেনাবাহিনী। তার পরেই কাবুলের হামিদ কারজাই বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নিয়েছে তালিবান। বাজি ফাটিয়ে, গুলি চালিয়ে আনন্দ করতেও দেখা গিয়েছে তাদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy