বাংলাদেশ থেকে ছাগল উপহার গেল ব্রুনেইতে। —ফাইল ছবি
ব্রুনেইয়ের সুলতানকে ‘উপহার’ হিসাবে ১৫টি ছাগল পাঠাল বাংলাদেশ! ব্রুনেইয়ের সুলতান হাজি হাসানাল বলকিয়াহ মুইজ্জাদ্দিন ওয়াদদৌল্লাহ সম্প্রতি বাংলাদেশ সফরে এসে খাসির মাংসের প্রশংসা করেছিলেন। তার পরেই তাঁকে এই উপহার পাঠিয়েছে ঢাকা।
প্রসঙ্গত, ব্রুনেই বিশ্বের ধনীতম দেশগুলির মধ্যে অন্যতম। বস্তুত, ব্রুনেইকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে ধনী দেশ বলা হয়। সেখানকার সুলতানও বিশ্বের অন্যতম ধনী এবং বিত্তবান শাসক। ২০০৮ সালের একটি বিদেশি ম্যাগাজিন দাবি করেছিল, ব্রুনেইয়ের সুলতানের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ২ হাজার কোটি ডলার! বিলাসবহুল যে প্রাসাদে তিনি থাকেন, সেটি বিশ্বের বৃহত্তম রাজপ্রাসাদগুলির মধ্যে অন্যতম। তাঁকে উপহার হিসাবে ১৫টি ছাগল পাঠানো হয়েছে বাংলাদেশ থেকে! সেই কারণেই বিষয়টি ‘খবরে’।
বাংলাদেশের সংবাদপত্র ‘প্রথম আলো’ জানাচ্ছে, শুধু ছাগল নয়, ধনকুবের সুলতানের জন্য ব্রুনেইতে পাড়ি দিয়েছে এক জোড়া ময়ূর, এক জোড়া চিত্রল হরিণ এবং এক জোড়া ময়নাপাখিও। প্রজননের মাধ্যমে ব্রুনেইতে এই পশুপাখিগুলির সংখ্যা বাড়ানো হবে। ওই সংবাদপত্র আরও জানাচ্ছে, ব্রুনেইয়ে বাংলাদেশের খাসির মাংসের চাহিদা রয়েছে। সে কথা মাথায় রেখেই উপহার হিসাবে সেখানে ছাগল পাঠানো হয়েছে। একে ‘কৃষি কূটনীতির অঙ্গ’ হিসাবেই দেখছে ঢাকা।
সম্প্রতি বাংলাদেশ সফরে এসে পদ্মাপারের খাবারের ভূয়সী প্রশংসা করেন ব্রুনেইয়ের সুলতান। নৈশভোজ এবং মধ্যাহ্নভোজে বিরিয়ানি ও মাংসের নানা উপাদেয় পদ পরিবেশন করা হয়েছিল তাঁর জন্য। এমনিতেই বাংলাদেশের মানুষ অতিথিবৎসল। সুলতানের আতিথেয়তায়ও কোনও ত্রুটি রাখেনি বাংলাদেশ। সেখানেই খাসির মাংস খেয়ে প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছিলেন ব্রুনেইয়ের সুলতান। শুধু সুলতান নন, ব্রুনেইয়ের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরাও পরিবেশিত খাবারের প্রশংসা করেছিলেন।
বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ব্রুনেইয়ের সুলতান সম্পর্কে তখনই বলেছিলেন, ‘‘ছাগল ওঁর খুব পছন্দ। উনি যাওয়ার সময় আমরা কিছু দিয়ে দেব।’’ তার পরেই এই উপহার পাঠানো হয়েছে। এতে দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্কের উন্নতি হবে বলেই মনে করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy