পালু শহরে মৃত শিশুকে উদ্ধার করে নিয়ে আসছেন স্থানীয় বাসিন্দা। ছবি: পিটিআই।
ভূমিকম্প এবং সুনামি, সুলাবেসি দ্বীপেএই দুই জোড়া প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে মৃতের সংখ্যা চারশোর কাছাকাছি গিয়ে দাঁড়াল। শনিবার ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের তরফে এই হিসেব দেওয়া হয়েছে। যদিও মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কায় ইন্দোনেশিয়া সরকার।
এখনও পর্যন্ত সব ক’টি মৃত্যুর ঘটনাই ঘটেছে সুলাবেসি দ্বীপের পালু শহরে। পুরো শহরটিই এখন ধ্বংসস্তূপের চেহারা নিয়েছে। এই শহরে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ মানুষের বসবাস। ভূমিকম্পের পর এই শহরের সৈকতে আছড়ে পড়েছিল প্রায় দেড় মিটার উঁচু ঢেউ। সমুদ্র সৈকতে এখনও অনেক মৃতদেহ বালির তলায় ঢাকা আছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তাই আরও মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার সম্ভাবনা বেশ জোরালো।
শুক্রবার থেকে এই শহরেই শুরু হওয়ার কথা ছিল একটি বিচ ফেস্টিভ্যালের। সেই উৎসবে অংশ নিতে ইন্দোনেশিয়া-সহ সারা দুনিয়ার অনেক পর্যটকই হাজির হয়েছিলেন পালুতে। তাঁদের অনেকেরই কোনও খোঁজ মিলছে না।
শহরের বিদ্যুৎ পরিষেবা এখনও পুরোপুরি বিপর্যস্ত। স্বাভাবিক হয়নি টেলিফোন ও ইন্টারনেট সংযোগও। হাসপাতালগুলিতে উপচে পড়ছে আর্তের সংখ্যা। অনেকের চিকিৎসা চলছে খোলা আকাশের তলাতেই। যাঁরা কোনও রকমে বেঁচে গিয়েছেন, তাঁরা অসুস্থ অবস্থাতেই অন্য দেহ খোঁজার কাজে সাহায্য করছেন সরকারি কর্মীদের।
আরও পড়ুন: আমেরিকাতে বাড়ছে ভারতীয়দের অবৈধ অনুপ্রবেশ!
ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো জানিয়েছেন, উদ্ধারকার্যে সাহায্য করতে নামানো হয়েছে সেনাবাহিনী। সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাও। তাদের উদ্বেগ শিশুদের নিয়ে। কারণ জলের তোড়ে শিশুদের ভেসে যাওয়ার সম্ভাবনাই সব থেকে বেশি।
আরও পড়ুন: তথ্য ফাঁস হয়েছে ৫ কোটি অ্যাকাউন্টের, জানাল মার্ক জ়াকারবার্গের সংস্থা ফেসবুক
এখনও পর্যন্ত সব থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পালু, যদিও উপকূলবর্তী অন্যান্য ছোট ছোট শহরেও আছে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা।
গ্রাফিক- শৌভিক দেবনাথ
(সারা বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা নিয়ে বাংলায় খবর পেতে চোখ রাখুন আমাদের আন্তর্জাতিক বিভাগে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy