এসভান্তে পাবো (বাঁ দিকে)। বাবা কার্ল সিউন ডেটলফ বার্গস্ট্রম (ডান দিকে)। —ফাইল ছবি।
বাবা মেডিসিন বিভাগে নোবেল পেয়েছিলেন ১৯৮২ সালে। ৪০ বছর পর, ২০২২ সালে ওই একই বিভাগে নোবেল পেলেন ছেলে। এসভান্তে পাবো। সোমবার তাঁর নাম ঘোষণা করেছে সুইডেনের কারোলিনস্কা ইনস্টিটিউটের নোবেল অ্যাসেম্বলি। তাঁর বাবা কার্ল সিউন ডেটলফ বার্গস্ট্রমও মেডিসিন বা ফিজিওলজি বিভাগেই নোবেল পেয়েছিলেন। নোবেলের ইতিহাসে বাবা-ছেলের পুরস্কার জয় এই প্রথম নয়।
নোবেল ফাউন্ডেশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পাবো জানিয়েছেন, তাঁর জীবনে সব থেকে বড় অনুপ্রেরণা তাঁর মা কারিন পাবো। তিনি রসায়নবিদ ছিলেন। পাবো স্পষ্টই জানিয়েছেন, বাবার সঙ্গে খুব একটা ঘনিষ্ঠতা ছিল না তাঁর। বরং মায়ের অনেক কাছের ছিলেন। যদিও বাবার কাজ বরাবর আকর্ষণ করেছে তাঁকে।
বার্গস্ট্রমের মতো বিখ্যাত বিজ্ঞানী পাবোর বাবা। এই বিষয়টি থেকেও একটি শিক্ষা পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন নোবেলজায়ী। কী সেই শিক্ষা? পাবোর কথায়, ‘‘নোবেলজয়ীরাও আসলে সাধারণ মানুষই হন।’’
এর আগে পদার্থবিদ্যায় ১৯২৫ সালে নোবেল পেয়েছিলেন মান সেগবান। ১৯৮১ সালে ওই একই বিভাগে নোবেল পান তাঁর ছেলে কাই। ১৯৫৯ সালে মেডিসিন বিভাগে নোবেল পেয়েছিলেন আর্থার কোরবার্গ। ২০০৬ সালে রসায়ন বিভাগে নোবেল পেয়েছিলেন তাঁর ছেলে রজার।
পাবোর জন্ম সুইডেনে। আজকের মানব প্রজাতির বিলুপ্ত পূর্বসূরি ছিল নিয়ানডারথাল। সেই নিয়ানডারথালের জিনোম পরীক্ষা করেছেন পাবো। বর্তমান মানব প্রজাতির আর এক পূর্বসূরি হোমিনিন নিয়েও গবেষণা করেছেন এই সুইডিশ বিজ্ঞানী। গবেষণায় তিনি জানতে পেরেছেন, ওই বিলুপ্ত প্রজাতি থেকে জিন ট্রান্সফার হয়েছে বর্তমান মানব প্রজাতির শরীরে।
কী ভাবে হয়েছে, তার প্রভাব কী, এ সব আজকের পরিস্থিতিতেও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করেন পাবো। সংক্রমণের ক্ষেত্রে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ যন্ত্র কী ভাবে প্রতিক্রিয়া জানায়, তা-ও এই গবেষণার সময় আরও ভাল ভাবে বুঝতে পেরেছেন বিজ্ঞানী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy