Advertisement
১৬ মে ২০২৪
Omicron

Omicron: ওমিক্রন কি শুধু মৃদু উপসর্গ ঘটায়? বিজ্ঞানীরা আপাতত ব্যস্ত তথ্য ও পরিসংখ্যান খুঁজতে

গত কয়েক দিনে দক্ষিণ আফ্রিকায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়ে সাড়ে আট হাজার ছাড়িয়েছে। ওমিক্রনের জন্যই এই সংক্রমণ বৃদ্ধি।

দক্ষিণ আফ্রিকায় কোভিড পরীক্ষা করা হচ্ছে এক ব্যক্তির।

দক্ষিণ আফ্রিকায় কোভিড পরীক্ষা করা হচ্ছে এক ব্যক্তির। ছবি—রয়টার্স।

সংবাদ সংস্থা
জোহানেসবার্গ শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২১ ১০:২৫
Share: Save:

করোনাভাইরাসের নতুন রূপ ওমিক্রন নিয়ে সতর্ক করলেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিজ্ঞানীরা। তাঁরা জানালেন, ওমিক্রন কেবলমাত্র মৃদু উপসর্গ ঘটায়— এ কথা নিশ্চিত ভাবে বলার সময় এখনও আসেনি। এর পক্ষে যুক্তিও দিয়েছেন তাঁরা।

বুধবার দক্ষিণ আফ্রিকার সরকারি আধিকারিকদের ওমিক্রনের ব্যাপারে জানাচ্ছিলেন সে দেশের বিজ্ঞানীরা। সেখানেই তাঁরা বলেছেন, আফ্রিকায় ওমিক্রনে আক্রান্তরা অধিকাংশই কমবয়সি। তাঁদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তুলনামূলক ভাবে বেশি। ওই বিজ্ঞানী দলের প্রধান মাইকেল গ্রুম বলেছেন, ‘‘সম্প্রতি সংক্রমণ হয়েছে কমবয়সিদের মধ্যে। এখন দেখা যাচ্ছে বয়স্কদের মধ্যেও সংক্রমণ বাড়ছে।’’ বয়স্কদের মধ্যে ওমিক্রন কতটা প্রভাব ফেলছে, তা জানতে আরও কয়েক দিন অপেক্ষা করতে হবে বলে মত তাঁর। দক্ষিণ আফ্রিকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর কমিউনিকেবল ডিজিজ (এনআইসিডি) জানিয়েছে, গত কয়েক দিনে দক্ষিণ আফ্রিকায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়ে সাড়ে আট হাজার ছাড়িয়েছে। ওমিক্রনের জন্যই এই সংক্রমণ বৃদ্ধি বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

যদিও বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, ওমিক্রন নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো যথেষ্ট তথ্য এবং পরিসংখ্যান প্রকাশ্যে আসেনি। গবেষণা চলছে। চিকিৎসক এবং বিজ্ঞানীরা তথ্য ও পরিসংখ্যান পাওয়ার চেষ্টা করছেন। তাঁদের বক্তব্য, অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। তবে সচেতনতা জরুরি।

২৫ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকার বিজ্ঞানীরা প্রথম জানিয়েছিলেন করোনাভাইরাসের নতুন রূপ ওমিক্রনের কথা। তার পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও চিহ্নিত করে। করোনার নতুন রূপ অনেক বেশি সংক্রামক বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীদের একাংশ। যদিও ডেল্টা বা ডেল্টা প্লাসের মতো করোনার রূপের তুলনায় এর সংক্রমণ ক্ষমতা বেশি না কম, তা নিশ্চিত ভাবে এখনও জানা সম্ভব হয়নি। টিকা নেওয়া ব্যক্তির শরীরে ওমিক্রন কতটা প্রভাব ফেলতে পারবে তাও এখনও প্রমাণিত নয়।

তবে দক্ষিণ আফ্রিকায় টিকাকরণের হার ইউরোপ এবং আমেরিকার তুলনায় অনেকটাই কম। মোট জনসংখ্যার সাত শতাংশও এখনও টিকার আওতায় আসেনি। কিন্তু ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়ছে। এই অবস্থায় দক্ষিণ আফ্রিকার অতিমারি পরিস্থিতির উপর নজর রয়েছে বিজ্ঞানীদের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE