পার্ক গুয়েন হে
দুর্নীতি, স্বজনপোষণ, ঘুষ নেওয়া, ক্ষমতার অপব্যবহার। তালিকা নেহাত ছোট নয়। এই সব ক’টি অভিযোগই ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। আর তার জন্য প্রেসিডেন্টের পদ থেকে আগেই সরে যেতে হয়েছে তাঁকে। এ বার আদালতের নির্দেশে জেলে যেতে হল দক্ষিণ কোরিয়ার সদ্য ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট পার্ক গুয়েন হে-কে।
আজ খুব ভোরে রাজধানী সোলের একটি ‘ডিটেনশন সেন্টার’-এ নিয়ে আসা হয় দেশের প্রথম মহিলা প্রেসিডেন্টকে। আগামী ২০ দিন সেখানেই থাকতে হবে তাঁকে। আইনজীবীরা জানিয়েছেন, আনুষ্ঠানিক ভাবে পার্কের বিরুদ্ধে চার্জগঠন শুরু হবে তার পর। তত দিন পর্যন্ত ওই সেন্টারই আপাতত ঠাঁই পার্কের। পার্কের গ্রেফতারি নিয়ে গত কাল প্রায় ন’ঘণ্টা ধরে সওয়াল জবাব চলে আদালতে। আদালত তার রায়ে জানায়, পার্কের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ এতটাই গুরুতর যে আনুষ্ঠানিক চার্জগঠনের আগে থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠাতে হবে কারণ না হলে তিনি অনেক তথ্য প্রমাণ নষ্ট করে দিতে পারেন বলে আশঙ্কা।
২০১৩ সালে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন পার্ক। তার পর থেকে ধীরে ধীরে অভিযোগের পাহাড় জমেছে তাঁর বিরুদ্ধে। গত ডিসেম্বরে তাঁকে ইমপিচ করার সিদ্ধান্ত নেন ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির সদস্যরা। তার পরই ক্ষমতা থেকে সরানো হয় তাঁকে। গোটা ঘটনায় জড়িত রয়েছেন পার্কের দীর্ঘদিনের বান্ধবী ও সঙ্গী ছই সুন-সিলও। দেশের অভ্যন্তরীণ ঘটনায় তাঁর অতিরিক্ত হস্তক্ষেপের অভিযোগ এনেছিলেন বিরোধীরা। ছইকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল। যদিও ছই এবং পার্ক দু’জনেই তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা অধিকাংশ অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। আজ ভোরে ‘ডিটেনশন সেন্টার’-এ পার্ককে যখন নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, রাস্তার দু’ধারে দাঁড়িয়ে ছিলেন তাঁর সমর্থকরা। তাঁদের হাতে প্ল্যাকার্ড যাতে লেখা, ‘প্রেসিডেন্ট’।
আগামী মে মাসে দেশে নির্বাচন। পরবর্তী প্রেসিডেন্ট কে হবেন, জানা যাবে তার পর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy