Advertisement
১৮ মে ২০২৪
usa

তিব্বত, হংকং নিয়ে চিনকে চাপ

বেজিংয়ের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠা নতুন নয়।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৫:১০
Share: Save:

সদ্য আমেরিকার বিদেশসচিবের দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি। গত দু’সপ্তাহে প্রায় ৩০টি দেশের বিদেশমন্ত্রীদের সঙ্গে ফোনে কথাও বলে ফেলেছেন। গত কাল চিনের বিদেশমন্ত্রী ইয়াং শিয়েচিকে ফোন করেছিলেন আমেরিকার নতুন বিদেশসচিব টনি ব্লিঙ্কেন। সেখানেই চিনের বিরুদ্ধে ওঠা মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ নিয়ে চিনা বিদেশমন্ত্রীকে সতর্ক করেছেন ব্লিঙ্কেন।

তিব্বত থেকে শুরু করে শিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর সম্প্রদায়ের উপরে নির্যাতন। সাম্প্রতিক কালে হংকংয়ে কার্যত জোর করে নতুন জাতীয় নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করে একের পর এক গণতন্ত্রকামী নেতাকে ধরপাকড়। বেজিংয়ের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠা নতুন নয়।

ব্লিঙ্কেন কাল সেই বিষয় নিয়েই সরাসরি সতর্ক করেছেন শিয়েচিকে। জানিয়েছেন, যেখান থেকেই মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তাঁদের কানে আসবে, মিত্র দেশগুলির সঙ্গে একযোগে তাঁরা
বিরোধিতা করবেন। ব্লিঙ্কেনের কথায়, ‘‘চিনকে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে যে, এ ভাবে একের পর মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায় ওরা এড়িয়ে যেতে পারে না।’’

একই সঙ্গে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় চিনের একচ্ছত্র আধিপত্য নিয়েও চিনা বিদেশমন্ত্রীকে হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন ব্লিঙ্কেন। তাঁর কথায়, ‘‘ফোনালাপে আমি এটা স্পষ্ট করে দিয়েছি যে, আমেরিকা যে কোনও মূল্যে নিজেদের দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব বজায় রাখবে। সেই সঙ্গে মানবিক মূল্যবোধের ক্ষয়ও আমরা মেনে নেব না।’’

একই সঙ্গে চিনের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন হোয়াইট হাউসের নতুন প্রেস সচিব জেন সাকিও। তাঁর কথায়, ‘‘আমেরিকার সঙ্গে চিনের কৌশলগত প্রতিযোগিতা তো রয়েইছে, সেই সঙ্গে প্রযুক্তিগত প্রতিযোগিতাও রয়েছে।’’ সাকির বক্তব্য, প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে আমেরিকার আধিপত্য এখন চিন কব্জা করতে চায়। তবে বাইডেন প্রশাসন এখন বিজ্ঞান ও
প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে আরও বিনিয়োগ করতে চায় বলে জানিয়েছেন প্রেসসচিব।

বাইডেন প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা গোড়া থেকেই চিনের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার বার্তা দিলেও বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা শুরু করেছে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দল। রিপাবলিকান সেনেটর টেড ক্রুজ় সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন।

তাঁর বক্তব্য, ‘‘ভূকৌশলগত ভাবে আমেরিকার সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষ চিন। কিন্তু এই বাইডেন প্রশাসন সেই চিনেরপ্রতিই শুরু থেকে নরম মনোভাব দেখাচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

China usa Tibet Hong Kong
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE