সংগৃহীত চিত্র।
পুজোর বয়স মাত্র তিন বছর। এর মধ্যেই আন্তর্জাতিক বাঙালি মহলের নজর কাড়ছে ‘প্রয়াস ইউকে’ পরিচালিত মাতৃ-আরাধনার আয়োজন। ২০২৩ সালে শুরু হওয়া দুর্গাপুজোয় বাঙালি আবেগ, ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির সঙ্গেই মিলেমিশে গিয়েছে বিশ্বজনীন আধুনিকতা। সংস্থার অন্যতম কর্ণধার ভাস্কর ভট্টাচার্যের ভাষায়, “দুর্গাপুজো শুধু পুজো নয় — এটি বিদেশে আমাদের ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক আত্মার পুনরাবিষ্কার!”
সংগৃহীত চিত্র।
লন্ডন ও আশপাশের এলাকায় বসবাসকারী বাঙালিদের হাত ধরে শুরু হওয়া এই পুজোর এ বারের থিম ‘নবরস’। পুজোর জন্য এক চালা দুর্গা প্রতিমা নির্মাণ করেছেন কলকাতার কুমোরটুলির শিল্পীরা। স্থানীয় প্রশাসনের সমস্ত নিয়ম কানুন মেনেই পুজোর যাবতীয় আয়োজন করা হচ্ছে গত কয়েক মাস ধরে।
গত দু'বছরের মতো এ বারও যাবতীয় পরম্পরা মেনেই এখানে দশভূজার বন্দনা ও পুজো করা হবে। মানা হবে যাবতীয় স্ত্রী-আচার। বিদেশের এই পুজোয় পুরোহিতের দায়িত্ব পালন করবেন তাপস ভট্টাচার্য। পুজোর দিনগুলিতে বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, এমনকী ফ্যাশন শো-এরও আয়োজন করা হবে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা। এ বারের অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষণ হল - কলকাতার গায়ক জয় ভৌমিক, ইন্দ্রাণী দত্ত, দেবাশিস গোলদার এবং ফোরকুইন্স-এর পরিবেশনা ও নৃত্য টেলস-এর অভিনব ফ্যাশন শো। আরও থাকছে দক্ষিণায়ন ইউকে-র ‘পঞ্চ কবি’ নৃত্যনাট্য।
সংগৃহীত চিত্র।
পুজোয় আগত অতিথিদের জন্য খিচুড়ি, পায়েস-সহ ভোগের বন্দোবস্তও করা হচ্ছে। মায়ের এই প্রসাদ স্থানীয় বাঙালি বাসিন্দাদের পাশাপাশি অবাঙালি ভারতীয়দের মধ্যেও ভীষণ জনপ্রিয়। এ বার তাঁরাও সকলে আসবেন পুজো দেখতে ও তাতে সামিল হতে। পুজোস্থলে তাঁরা কলকাতার স্ট্রিট ফুড-ও চেখে দেখতে পারবেন।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।