গত বছরের পুজো (সংগৃহীত চিত্র)।
বাঙালি তার শিকড় ছেড়ে যত দূরেই যাক না কেন, তাতে বাঙালিয়ানা দূর হয়ে যায় না মোটেও। আসন্ন শারদোৎসবে যেন এই বার্তাই দিতে চাইছে সুদূর নরওয়ের বার্গেন শহরের বেঙ্গলি অ্যাসোসিয়েশন। যারা মূলত 'তেরো পার্বণ' নামেই বেশি পরিচিত।
ভিনদেশি এই বাঙালি সংগঠনের বয়স দেখতে দেখতে ১০ বছর হয়ে গেল। বিগত বছরগুলির মতোই এ বারও তারা দুর্গাপুজোর আয়োজন করছে। তবে, বিদেশ বিভুঁইয়ে নানা নিয়ম কানুন, সময় সুযোগ মেনে চলতে হয়। তাই, পুজোর দিন নির্ধারিত হয়েছে বিজয় দশমীর পরে। আগামী ৪ ও ৫ অক্টোবর মাতৃ-আরাধনার সেই আয়োজন করেছেন সংগঠনের উদ্যোক্তারা।
পরিস্থিতি ও পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে গিয়ে পুজোর দিন ক্ষণে কিছু বদল আনতে হলেও পুজো হবে যাবতীয় সাবেক রীতিনীতি মেনেই। এ ছাড়াও পুজো উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হবে, তাতে কী থাকবে না? নাচ, গান, কুইজ, নাটক- সবেরই ব্যবস্থা থাকবে। আর থাকবে দেদার খাওয়া-দাওয়া।
পুজোর দু'দিনই উদ্যোক্তাদের তরফে মধ্যাহ্নভোজ ও নৈশাহারের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। মেনুতে থাকছে লোভনীয় নানা পদ। তাতে বাঙালির প্রিয় ঝালমুড়ি থেকে শুরু করে ইতালীয় পিৎজা যেমন থাকছে, তেমনই থাকছে খিচুড়ি ভোগ, বেগুনি থেকে শুরু করে বাসন্তী পোলাও কিংবা চিকেন টিক্কা মশালা! এ ছাড়া চা, কফি, স্ন্যাকস তো আছেই।
'তেরো পার্বণ'-এর সভাপতি তুহিন ভক্ত আনন্দবাজার ডট কমকে বলেন, "২০১৬ সালে আমাদের কয়েকটি পরিবার মিলে উৎসাহ-উদ্দীপনায় এই ছোট্ট পুজোর সূচনা করে। প্রথম দিকের সেই সাদামাটা আয়োজন আজ রূপ নিয়েছে প্রবাস জীবনের এক মহোৎসবে। বিগত চার বছর ধরে আমরা কুমোরটুলি থেকে আনা প্রতিমায় পুজো করছি। এ পুজো আমাদের কাছে ঘরে ফেরার গান। ফিরে পাই আমাদের ফেলে আসা শৈসব-কৈশোরের সেই চেনা উষ্ণতা।"
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।