প্রতীকী চিত্র
কখনও তিনি মঞ্চাভিনেতা, আবার কখনও ‘গোয়েন্দা’, তবে শত ব্যস্ততার মাঝেও খানিক স্বস্তি ঋষভ বসুর। ক্যালেন্ডার বলছে, সোমবার তাঁর জন্মদিন। সকাল থেকেই শুভেচ্ছা বার্তার বন্যা। কেমন কাটছে দিনটা? আনন্দবাজার ডট কমকে ফোন মারফত ঋষভ বলেন, “খুবই ভাল একটা অনুভূতি। গত রবিবার আমার শো ছিল নাটকের। সেটা হাউসফুল হয়েছে। যে কোনও শো ভালয় ভালয় মিটলে মনটা খুশি হয়ে যায়। সেই অনুভূতিটা নিয়েই জন্মদিনের সকালটা কাটছে।” তবে এই ভাল লাগার আরও একটি কারণ হল অভিনেতার সদ্য মুক্তপ্রাপ্ত ছবি ‘সরলাক্ষ হোমস’কে ঘিরে দর্শকদের প্রতিক্রিয়া। ঋষভ বলেন, “আজকে পর্যন্তও নন্দনে হাউসফুল। বেশ ভাল লাগছে।”
সারা দিন ধরে কী পরিকল্পনা ‘বার্থডে বয়’-এর? তিনি জানান, এই বিশেষ দিনের পুরোটাই তাঁর পরিবার ও বন্ধুবান্ধবকে ঘিরে। বললেন, “মায়ের হাতের রান্না ছাড়া এই দিনটা অসম্পূর্ণ। মা-বাবার সঙ্গে দুপুরের খাব। মা রান্না করে রেখেছেন।”
খাদ্যরসিক হলেও স্বাস্থ্য নিয়েও কিন্তু বেশ সচেতন ঋষভ। তবে অভিনেতার কথায়, “পুজো হোক বা জন্মদিন, এই দিনগুলিতে ডায়েট করার কথা ভাবলে স্বয়ং ভগবানই অভিশাপ দেবেন!”
এক দিকে ছবি মুক্তির উচ্ছ্বাস আর একই সঙ্গে আসন্ন দুর্গাপুজোর আমেজ, এই সময়টা কতটা উপভোগ করছেন ঋষভ? তিনি বলেন, “পুজো আসলে একটা বাড়তি আনন্দ তো থাকেই। পুজো পুজো গন্ধটা এখন থেকেই উঁকি দিতে শুরু করে দিয়েছে। উপরন্তু আমার ছবিকে ঘিরেও দর্শকদের এত ভালবাসা পাচ্ছি, সবটা মিলিয়েই দারুণ লাগছে। এ বছর দেবীর কাছেও এটাই চাইব যেন আরও ভাল ভাল কাজ করে যেতে পারি। আর সেগুলি উপহার দিতে পারি সেই মানুষগুলিকে যাঁরা আমাকে নিয়মিত ভালবাসা দেন।”
এ বারের পুজোয় ঋষভের গন্তব্য কোথায়? কলকাতাতেই থাকবেন নাকি? অভিনেতার সাফ জবাব, “আমি পুজোতে খুব একটা বাইরে যাই না। আমার অনেক বন্ধু চাকরি সূত্রে শহরের বাইরে থাকে। এই পুজোর সময়টাই তো তাদের সঙ্গে আড্ডা জমাতে পারি। বাড়িতেই তার সঙ্গে চলে গান-বাজনা, খাওয়া-দাওয়া।”
তবে এই সবের মধ্যেও ফেলে আসা ছেলেবেলাকে কিন্তু ভুলে যাননি অভিনেতা। তিনি বলেন, “বিশেষ করে এই সময়টাতেই যেন স্মৃতিমন্থন হয়! সবথেকে বেশি মনে পড়ে ছোটবেলার শোনা পুজোর গানগুলি। মান্না দে, কিশোর কুমার, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের পাশাপাশি কুমার শানু, নচিকেতা চক্রবর্তী, শ্রীকান্ত আচার্য, পুজোর সময়ে অ্যালবাম বেরোতো। আর সকাল হলেই পাড়ার প্যান্ডেলে চলত সেই গানগুলিই।” অভিনেতার কথায়, “তখন কিন্তু কোনও ক্যাব বা গুগ্ল ম্যাপের সুবিধা ছিল না। বন্ধুরা মিলে খুঁজে খুঁজেই প্যান্ডেলের সন্ধান করতাম। এগুলি খুব মনে পড়ে।”
এ বারের পুজোতেও ঘোরাঘুরি হবে না গোটাটা জুড়েই ব্যস্ততা? তিনি বলেন, “খুব বেশি ব্যস্ততা থাকে না। তবে কাজ বলতে পুজো পরিক্রমা-সহ অন্যান্য অনুষ্ঠান। এই বছরও তাই হবে।” এক গাল হেসে যোগ করেন, “যা কিছু ষষ্ঠী পর্যন্ত। সপ্তমী থেকে দশমী, আর কোনও কাজ করব না।”
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।