সংগৃহীত চিত্র।
সারা বছরই কাজের ব্যস্ততা থাকে। তবে বছরের ঠিক এই সময়ের অনুভূতিটা বেশ অন্য রকম অরুণিমা ঘোষের কাছে। আনন্দবাজার ডট কমকে অভিনেত্রী বলেন, “পুজো আসছে আসছে, এই আনন্দটাই বিশেষ। কারণ পুজো এসে যাওয়া মানেই একটা মন খারাপ যে পুজোটা চোখের নিমেষে চলেও যাবে। এই সময়টাই সব চেয়ে বেশি উপভোগ করি।”
তবে এই বছরের দৃশ্যটা একটু আলাদা। এক রাতের ভারী বর্ষণের জেরে পুজোর মুখে কিছুটা হলেও থমকেছে জনজীবন। অরুণিমার কথায়, “হতাশ লাগছে। এত জন মানুষ চলে গেলেন। এই ঘটনাগুলিই খুব মন খারাপ করে দেয়।”
যদিও এর মধ্যেও কিছুটা স্বস্তির বিষয় হল জমা জল নেমে গিয়ে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে পরিস্থিতি। অভিনেত্রী বলেন, “এত বৃষ্টি, ট্রাফিক ও ভিড়ের মধ্যেও আনন্দের বিষয় হল বাড়ির সামনে লাইটগুলি জ্বলে গিয়েছে। প্যান্ডেলগুলি প্রায় তৈরি। এত অপূর্ব সব প্রতিমা। আমার খুব ইচ্ছে হয় যদি আমি একটা পাখি হতাম আর সব ঠাকুরগুলি দেখে নিতাম।”
পুজোর পরেই অভিনেত্রীর ছবির মুক্তি। বড় পর্দায় আসছে ‘কীর্তনের পর কীর্তন’। অভিনেত্রীর মতে, ছবিকে ঘিরে দর্শকদের ভালবাসাই হল সব চেয়ে বড় পাওয়া। তিনি বলেন, “আমি তো কাজটাই করি যাতে মানুষের ভাল লাগে। যখন ছবির ট্রেলার বেরোল, অনেকেই আমাকে ফোন করেছিলেন। আমার কাছে এটাই পুরস্কারের থেকেও মূল্যবান। আশা করছি ছবিটা সকলের ভাল লাগবে।”
ছবি মুক্তি মানেই তো প্রচারের ব্যস্ততা। পুজোটাও কি এই ভাবেই কাটবে নায়িকার? অরুণিমার সাফ জবাব, “গোটা পুজোটাই আমি একদম ঝাড়া-হাত-পা। শুধু একদিন ‘কীর্তনের পর কীর্তন’-এর প্রচারে বেরোব। আর বাকি দিন বাড়ি থাকব, ভোগ খাব আর পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাব।”
কত দূর এগোল কেনাকাটা? অভিনেত্রী বলেন, “শাড়ি তো মা কিনে দেয়। এ ছাড়া মাসি আর মামার কাছ থেকেও আসে। আমি এত বড় হয়ে গিয়েও এখনও ছোটবেলার মতোই উচ্ছ্বসিত থাকি। এ বছরও অন্যথা হয়নি। মা, মামা, মাসির কাছ থেকে সানন্দে গ্রহণ করেছি। তবে আগে বাবাও শাড়ি উপহার দিতেন। এখন বাবা নেই। কিন্তু শূন্যস্থানটা থেকে গিয়েছে।”
অভিনেত্রীর কথায়, “শাড়িতেই মনে হয় সব থেকে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি আমি। কারণ শ্যুটিং থাকলে সারা বছরই শাড়ি পরতে হয়। কাজেই পুজোর দিনগুলিতে না পরলে মা খুব বকাবকি করে। বলে, ‘এক দিন পরতেই হবে!’ চেষ্টা করি সেই দিনটা অষ্টমীই রাখার। আর বাকি দিনগুলিতে আমি আমার চিরাচরিত পাজামাতে ফিরে যাই।”
পুজোর আগে ভারী বর্ষণে কিছুটা চিন্তার ভাঁজ পড়েছে অরুণিমার কপালেও। এ বছর দেবী দুর্গার থেকে তাঁর চাওয়া, “মানুষ যেন সুস্থ থাকেন। আর কোনও দুর্যোগ বা বিপত্তি যেন না আসে। মানুষের প্রাণ যেন না যায় আর।”
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।