সংগৃহিত চিত্র
আর মাত্র কয়েকটা মাসের অপেক্ষা। শীঘ্রই ছাদনাতলায় যাচ্ছেন অভিনেত্রী মধুমিতা সরকার। দেবমাল্য চক্রবর্তীর সঙ্গে নতুন জীবন শুরুর আগে এটাই শেষ পুজো ‘প্রেমিক-প্রেমিকা’ হিসেবে। তার মধ্যে সদ্যই দীর্ঘ বিরতি কাটিয়ে ছোট পর্দায় ফিরেছেন। সব মিলিয়ে ব্যস্ততা তুঙ্গে এখন। তাও পুজো নিয়ে কী পরিকল্পনা মধুমিতার জানালেন আনন্দবাজার ডট কমকে।
এক দিকে বিয়ের প্রস্তুতি, আরেক দিকে নতুন ধারাবাহিক, সব কিছুর ফাঁকে পুজোর পরিকল্পনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে নায়িকা বলেন, “আমার নতুন ধারাবাহিক শুরু হয়েছে, তার ব্যস্ততা তো আছেই। তা ছাড়া বিয়ের প্রস্তুতির জন্যও দু’জনেরই নিজেদের মতো করে ব্যস্ততা রয়েছে। কিন্তু তার মধ্যেও মজা করে নেব।” তিনি এ দিন এও জানান, “আমাদের এক বন্ধুর বাড়িতে পুজো হয়। বেশির ভাগ সময় সেখানেই থাকি। বন্ধুরা মিলে হয়তো ওই বন্ধুর বাড়ি পুজো দেখতে যাব, বা ঠাকুর দেখতে যাব। সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া তো আছেই।” কিন্তু সদ্য শুরু হওয়া ধারাবাহিকের জন্য নিশ্চয় ব্যাংকিংয়ের চাপ রয়েছে। ছুটি কেমন কী পাবেন জানতে চাইলে মধুমিতা বলেন, “খুব কম ছুটি থাকার কথা, যা শুনছি। তবে তার মধ্যেই মজা করে নেব।”
কখনও ‘পাখি’, কখনও ‘ইমন’, কখনও ‘চিনি’... কখনও ছোট পর্দা তো কখনও বড় পর্দা বা ওয়েব, বিনোদনের সমস্ত মাধ্যমেই দাপিয়ে কাজ করছেন মধুমিতা। বলা যায়, তাঁর অভিনয়ের গুণের জন্য তিনি এখন বাংলার প্রতিটি ঘরের অতি চেনা মুখ হয়ে উঠেছেন। জনপ্রিয়তার সঙ্গে বেড়েছে ব্যস্ততা। কিন্তু তাও এই সময় দাঁড়িয়ে ছোটবেলার পুজোর স্মৃতি হাতড়াতে বসলে কোন কথা মনে পড়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, ‘দুর্গা বাড়ি, আর দেশপ্রিয় পার্কের নাগরদোলা চড়া’র স্মৃতিই সব থেকে বেশি প্রকট তাঁর।
পুজোয় নিজেকে কেমন ভাবে সাজিয়ে তুলতে সবথেকে বেশি পছন্দ করেন ‘ভোলে বাবা পার করেগা’র নায়িকা? “পুজোতে গত ৩-৪ বছর বোধহয় আমি শুধু শাড়িই পরেছি। কখনও কখনও মায়ের শাড়ি, কখনও নিজের না পরা ভাল শাড়ি থাকে, সেগুলিই পরি। অষ্টমীর জন্য চেষ্টা করি যাতে একটা ভাল, সুন্দর দেখতে শাড়ি যাতে হয়। শাড়ি ছাড়া পুজোতে আর কিছু পরা পছন্দ করি না”, জবাব মধুমিতার।
২০২৪ সালের পুজোর সময়ই নতুন সম্পর্কের কথা আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করেন অভিনেত্রী। সেই প্রসঙ্গের রেশ ধরেই পুজোর প্রেমের গল্প জানতে চাইলে নায়িকা বলেন, “পুজোর প্রেম তো গত বছর আমরা দারুণ ভাবে কাটিয়েছি। এ বছরও সুন্দর ভাবে কাটানোর পরিকল্পনা করছি।” তবে তিনি এ দিন এও জানান, “আমি এত ছোট থেকে কাজ করা শুরু করেছি যে আমার কাছে পুজোটা পুজো পরিক্রমা, ইত্যাদি নিয়েই। যেহেতু সারা বছর কাজ করতাম, করি, সেহেতু স্কুলের বন্ধুদের সঙ্গে সারা বছর দেখা হয় না। এই সময়ই ওদের সঙ্গে দেখা হয়। ঘুরতে যাই। আমার কাছে পুজোটা একটু অন্য রকম। এরম কখনও ছিল না যে এই সময়ই প্রেম করার সুযোগ খুঁজতে হবে। কাছের মানুষ, ভালবাসার মানুষ সঙ্গে থাকলে এই ছুটির সময়টা আরও সুন্দর করে, মজা করে কাটানো যায়।”
সামনেই বিয়ে, নতুন কাজ শুরু হয়েছে, সবটা মিলিয়ে মধুমিতার কী প্রার্থনা থাকবে দেবীর কাছে? নায়িকা বলেন, “দেবীর কাছে এটাই চাইব যে গত বছর যত সুন্দর ভাবে কেটেছে, এই বছরও যেন ভাল কাটে। আর সারা জীবন পুজোগুলি যেন এ ভাবেই সুন্দর ভাবে কাটতে থাকে।”
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।