সংগৃহীত চিত্র।
টুকটুকে, গোলগাল চেহারা, খুদে দুই চোখ ঘুরছে সর্বত্র। চতুর্থীর সকালেই আলাপ হয়েছে এই খুদের সঙ্গে। পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় এবং পিয়া চক্রবর্তীর পুত্র সে। নাম ‘নিষাদ’। নামের সঙ্গেও রয়েছে সুরের যোগ। ‘নিষাদ’ অর্থাৎ সপ্তম সুরের সর্ব শেষ সুর। অবশ্য এর অন্য আরও একটি অর্থ হল ‘দুঃখ স্পর্শ করতে না পারা’। তবে সুরের মতোই এই মুহুর্তে সকলকে মাতিয়ে রেখেছে পরিবারের এই ছোট সদস্য।
নিজের চোখে এই বছর প্রথম পুজো দেখবে সে। আনন্দবাজার ডট কমকে পিয়া বলেন, “এখনও তো ও খুবই ছোট। তাই এ বছর কোলে চড়েই ঠাকুর দেখবে। পরের পুজোটা হেঁটে হেঁটে দেখতে পারবে। এ বারে ওর জন্য আমাকে কোনও জামাকাপড় কিনতেই হয়নি। সবাই আদর করে প্রচুর ছোট ছোট ধুতি পাঞ্জাবি দিয়েছে। ওটা পরিয়েই হয় তো আশেপাশে এলাকায় একটু ঘুরতে বেরোব। খুব বেশি দূর তো নিয়ে যাওয়া যাবে না।” এই মুহূর্তে একরত্তিকে ঘিরেই তো উদ্যাপন। পিয়া বলেন, “এই অনুভূতিটা পুরোদস্তুর উপভোগ করছি। এখন ধীরে ধীরে ঘাড় উঁচু করে এ দিক ও দিক তাকাতে পারছে। এটাই আনন্দের যে এই বছর ঘাড়টা তুলে প্রতিমা দেখতে পারবে।” পুত্র সন্তান আসার পর নাকি অনেক বেশি দায়িত্ববান হয়েছেন পরমব্রত। পিয়ার নিজের জীবনও যে বদলেছে, তা অকপটেই স্বীকার করে নেন গায়িকা তথা সমাজসেবিকা। মা হওয়া কি চাট্টিখানি কথা! পিয়া বলেন, “এখন তো আমার সব পরিকল্পনাই ওকে মাথায় রেখে হয়। এত দিন খুব চিন্তামুক্ত জীবনযাপন করেছি। বন্ধুদের সঙ্গে এক এক বেলা এক একটি আড্ডার পরিকল্পনা হতো। এখন আগে থেকে সবটা ভেবে রাখতে হবে যে ওকে নিয়ে কী করব, কোথায় যাব। অন্য বারের তুলনায় হয়তো এই বছর বেরোব কম। সকলকে বলব বাড়িতে এসেই দেখা করে যাওয়ার কথা। জীবন তো একটু হলেও বদলে যায়-ই।”
ক্যাপশনঃ পরম-পিয়ার একরত্তি নিষাদ
এ বছর দেবীর কাছেও পিয়া চাওয়া সামান্যই। তিনি বলেন, “দুর্যোগ কেটে যাক। পুজোয় সকলে মন প্রাণ ভরে আনন্দ করুক। অর্থনৈতিক দিক থেকেও পুজোটা খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা সময়। সব যেন ভালয় ভালয় মেটে। চারিদিকে শান্তি বজায় থাক- এটাই চাওয়া…”
‘আনন্দ উৎসব ২০২৫’-এর সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছেন একাধিক সহযোগী। প্রেজ়েন্টিং পার্টনার ‘মারুতি সুজ়ুকি অ্যারেনা’। অন্যান্য সহযোগীরা হলেন ওয়েডিং পার্টনার ‘এবিপি ওয়ানস্টপ ওয়েডিং’, ফ্যাশন পার্টনার ‘কসমো বাজ়ার’, নলেজ পার্টনার ‘টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি’, ব্যাঙ্কিং পার্টনার ‘ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’, কমফোর্ট পার্টনার ‘কার্লন’।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।