সংগৃহিত চিত্র
এক দিকে প্রথম বিবাহবার্ষিকী, অন্য দিকে বাড়ির ছোট সদস্যকে নিয়ে প্রথম দুর্গাপুজো উদ্যাপন, অভিনেত্রী রূপসা চট্টোপাধ্যায়ের কাছে যেন এই উৎসবের মাসটা একটু বিশেষই বটে। গত বছর পুজোর মাসেই সায়নদীপ সরকারের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন রূপসা। তখন পুজো প্রায় দোরগোড়ায়। আর এ বছর ৩ অক্টোবর একাদশী। পুজো শেষ। আনন্দবাজার ডট কমকে মজা করে অভিনেত্রী বলেন, “আগের বছর আমাদের বিয়ে দিয়ে পুজো শুরু হয়েছিল। এ বছর পুজো শেষ হচ্ছে আমাদের বিবাহবার্ষিকীর মধ্য দিয়ে। সায়নদীপের সঙ্গে আমার প্রথম সাক্ষাৎও হয়েছিল পুজোর সময়তেই। তাই পুজোটা প্রতি বছরই আমাদের কাছে বিশেষ হয়ে থাকে।”
এখন পরিবারে জুড়েছে নতুন অতিথি। ছোট্ট অগ্নিদেবের এটা প্রথম পুজো। অভিনেত্রীর কাছে ফোন যেতেই একরত্তিও পাশ থেকে আওয়াজ করে জানান দেয় তার উপস্থিতির কথা। বয়স প্রায় সাত মাস। আধো আধো কণ্ঠে সেও হয়তো বোঝাচ্ছে তাঁর অনুভূতির কথা। রূপসা হেসে বলেন, “অগ্নি খুব ঢাকের আওয়াজ ভালবাসে। ছোট থেকেই আমার মা ওকে ঢাকের আওয়াজ শুনিয়ে ঘুম পাড়ায়। ওই আওয়াজ শুনলে ওর যেন আলাদাই শান্তি। এটাই দেখার যে পুজোর সময় ও কী করে!” তিনি আরও যোগ করেন, “আগে তো পুজোতে ঘুরতে যেতাম। শেষ তিন-চার বছর এখানেই থাকি। কলকাতার পুজোর আমেজটাই আলাদা। সায়নেরও খুব পছন্দ। আমার মামার বাড়িতে ১৫০ বছরের পুরনো দুর্গাপুজো হয়। আর সেই সবকিছুর মধ্যেই এ বার ডুগ্গু-ও যোগ হয়েছে।” পরিবারের মধ্যমণি বলতে তো এখন অগ্নিদেবই। তার কাছে এই দিনগুলি আর পাঁচটা দিনের মতো কাটলেও, তাকে ঘিরে এখন থেকেই উৎসবের মেজাজ পরিবারের সকলের। অভিনেত্রী জানান, ইতিমধ্যে ছয় থেকে সাতটা জামাও হয়ে গিয়েছে। তবে সে তালিকা আরও দীর্ঘ হবে।
জনপ্রিয় অভিনেত্রী হওয়ার পাশাপাশি রূপসা এখন একজন স্ত্রী এবং একজন মা-ও। নিঃসন্দেহে জীবন যে বদলেছে, তাতে সহমত পোষণ করেন নায়িকা নিজেও। ছোটবেলার দুর্গাপুজোর ঘ্রাণটা আসে? রূপসা বলেন, “খুবই মনে পড়ে ছেলেবেলার কথা। সেই সময় অষ্টমী থেকে আমার ঠিকানা হতো মামারবাড়ি। তার আগে ভান্ডারার সময়ে বেনারসে যেতাম। তাই ছোটবেলায় পুজোর শুরুটা হতো বেনারসে। আর শেষটা কাটাতাম উত্তর কলকাতাতেই। এখন স্মৃতিগুলি মনে পড়লেই নতুন করে বেঁচে উঠি।”
পুজোর মরশুমেও কি অভিনেত্রী ছুটি পেয়েছেন কাজ থেকে? রূপসা বলেন, “সদ্যই একটা কাজ শেষ হল। আর তা ছাড়া কয়েকটা প্যান্ডেলের উদ্বোধনও রয়েছে। এ বার তো আমার ডুগ্গুরও একটা ক্যাম্পেইন রয়েছে ষষ্ঠীতে।” বলেই হাসি…
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।