প্রতীকী চিত্র
টিভির পর্দায় দেবীরূপে তাঁর শান্ত-স্নিগ্ধ বেশ ধরা পড়েছে এর আগে। তবে এ বার তিনি রুদ্ররূপী। অস্ত্র হাতে অশুভ নিধনে প্রস্তুত ‘দেবী চৌধুরাণী’। এর নেপথ্যের মানুষটি হলেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। তবে চরিত্রের খোলস থেকে বেরিয়ে এলেও অভিনেত্রীর মতে, “আমি মনে করি প্রতিটা মেয়ের মধ্যেই দেবীর শক্তির বিরাজমান। আমার মধ্যেও রয়েছে সেটি।”
কিন্তু দেবী দুর্গার তো নানা রূপ। শ্রাবন্তী কোনটি নিতে চাইবেন? অভিনেত্রীর সহজ জবাব, “কঠিন সময়ের সঙ্গে লড়ার শক্তি যেন থাকে। অশুভ শক্তি নাশ করে আমি যেন মানুষের উপকার করতে পারি। জীবনে এগিয়ে যেতে পারি।” ব্যক্তিগত জীবনেও তো কম ‘ঝড়ঝাপটার মরসুম’ পেরোননি অভিনেত্রী… শ্রাবন্তী-সুলভ হাসি হেসেই অভিনেত্রী বলেন, “পেরিয়ে এসেছি!” তাঁর কথায়, “কঠিন সময় সবার জীবনেই আসে। আমরা জনসাধারণের নজরে থাকি বলে মানুষের এত কৌতূহল। কিন্তু আমার মতো কোটি কোটি মানুষ আছেন, যাঁরা কঠিন পরিস্থিতি অতিক্রম করে এগিয়ে গিয়েছেন জীবনে।”
শ্রাবন্তী তো হাজারও অনুরাগীর অনুপ্রেরণা। শ্রাবন্তীর অনুপ্রেরণা কে? অভিনেত্রী জানান তাঁর পরিবারই তাঁর শক্তি। যদিও এ ক্ষেত্রে তিনি ভুলে যাননি তাঁর অনুরাগীদেরও। শ্রাবন্তী বলেন, “স্বার্থহীন ভাবে যে মানুষগুলি আমাকে ভালবেসে এসেছেন, আমি তাঁদের কথাও বলতে চাই। তাঁদের ছাড়া আমি ‘শ্রাবন্তী’ হয়ে উঠতাম না।” তবে তিনি ‘তারকা’ হয়ে উঠলেও ছোটবেলার পুজোর আবেগটা কিন্তু একই রয়ে গিয়েছে অভিনেত্রীর কাছে। শ্রাবন্তী বলেন, “আগে পুজোয় ক’টা জামা হল গুনতাম। এখন অবশ্য বুঝতেই পারি না কোন দিক থেকে, কার তরফ থেকে নতুন পোশাক আসছে। তবে উপহার পাওয়ার পর আনন্দটা একই রয়ে গিয়েছে।”
পুজোর প্রেমের কথা মনে পড়ে শ্রাবন্তীর? তিনি বলেন, “সে অনেক হয়েছে ছোটবেলায়। অঞ্জলির সময়ে ফুলের সঙ্গে প্রেমপত্র আসত। তবে প্রেমটা নির্ভেজাল ছিল।”
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।