Celebrity Puja Plans

আগের বছর আমার গর্ভে ছিল, এ বার নিজের চোখেই পুজো দেখবে কৃষভি: শ্রীময়ী

গত বছরই কোলে এসেছে ছোট্ট কৃষভি। তখন অবশ্য দুর্গাপুজো মিটেছে। এ বার স্বচক্ষে দেবীর বরণ দেখবে একরত্তি। এই মুহুর্তে তাকে ঘিরেই উৎসবের মেজাজ কাঞ্চন ও শ্রীময়ীর।

Advertisement

আনন্দ উৎসব ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২০:১১
Share:

সংগৃহিত চিত্র

অভিনেত্রীর পাশাপাশি তিনি একজন স্ত্রী এবং এখন একজন মা। কতটা বদলাল অভিনেত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজের জীবন? যদিও তাঁর সহজ স্বীকারোক্তি, “মেয়ের সঙ্গে সঙ্গে আমিও প্রতি দিন যেন বেড়ে উঠছি।” গত বছরই কোলে এসেছে ছোট্ট কৃষভি। তখন অবশ্য দুর্গাপুজো মিটেছে। এ বার স্বচক্ষে দেবীর বরণ দেখবে একরত্তি। এই মুহুর্তে তাকে ঘিরেই উৎসবের মেজাজ কাঞ্চন মল্লিক ও শ্রীময়ীর।

Advertisement

কন্যার সঙ্গে প্রথম পুজো। কেমন এই অনুভূতি? আনন্দবাজার ডট কমকে অভিনেত্রী বললেন, “দারুণ লাগছে। আগের বছর ও আমার গর্ভে ছিল। এ বার তো সশরীরে নিজের চোখেই ঠাকুর দেখবে। ওকে নিয়ে ঘুরতে বেরোবো। মানুষজনের ভিড় তো থাকবেই রাস্তায়। কী যে করবে, সেটাই দেখার।”

পরিবারের মধ্যমণি তো এখন সে-ই। পুজোয় কটা জামা হল কৃষভির? হাসতে হাসতে অভিনেত্রী বলেন, “অগুন্তি! গতকালও নতুন জামা এসেছে বাড়িতে। এখন তো কাঞ্চনের সঙ্গেই ঝামেলা লেগে যাচ্ছে আমার। বারণ করছি আর যেন জামা না কেনে। আমি কিন্তু এখনও নিজের জন্য কিচ্ছু কিনিনি। কাঞ্চনকে কিনে দিয়েছি। মেয়েকে ঘিরেই সব কিছু এখন। ওকে সাজাব, ঠাকুর দেখব-এটাই এক মাত্র ইচ্ছে। আমি তো বিশ্বাসই করতে পারছি না যে দেখতে দেখতে কখন ১০ মাস হয়ে গেল। মনে হচ্ছে প্রতি দিন ওর সঙ্গে আমিও বড় হচ্ছি।”

Advertisement

শ্রীময়ী জানান, মেয়ে কৃষভি ঘুরতে যেতে ভালবাসলেও মানুষজনে একটু ‘আপত্তি’ তার। তিনি বলেন, “বুঝতে পারছি না পুজোতে এত মানুষের সমাগমের মাঝে ও কী করবে!”

চলতি বছরের পুজোটা ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে কাটবে শ্রীময়ীরও। পুজোর মাসেই ছবি মুক্তি। অভিনেত্রী বলেন, “রক্তবীজ ২’ মুক্তি পাচ্ছে। তারও কিছু প্রচার রয়েছে। প্রতিটা অভিনেতা-অভিনেত্রীরই ইচ্ছে থাকে ‘উইন্ডোজ়’-এর সঙ্গে কাজ করার। শিবু দা (শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়) ও নন্দিতা দি (নন্দিতা রায়) আমাকে সেই সুযোগটা দিয়েছেন। এই বছরের পুজোটা আমার জন্যেও বেশ অন্যরকম।” কিন্তু এ তো গেল ছবির প্রচারের কথা। আলাদা করে কোনও পরিকল্পনা নেই নায়িকার? শ্রীময়ী বলেন, “আমি উত্তর কলকাতার মেয়ে। প্যান্ডেলে গিয়ে ঠাকুর দেখতে বরাবরই ভালবাসি। এ ছাড়া কাঞ্চনের পুরনো পাড়ায় গিয়ে ভোগ খাওয়া- সবই ভাল লাগে। এ বারে ইচ্ছে আছে আমার দেশের বাড়ির দুর্গাপুজো দেখতে যাওয়ার। প্রায় ৩৫০ বছরের দুর্গাপুজো। এর আমেজটাই আলাদা।”

বর্তমানে শ্রীময়ী বিনোদন জগতের জনপ্রিয় মুখ। জীবন যে কিছুটা হলেও বদলেছে, তা অস্বীকার করেন না নায়িকা। স্বামী ও কন্যাকে নিয়ে এখন ভরা সংসার তাঁর। মেয়েবেলার কথা মনে পড়ে? অভিনেত্রী বলেন, “ছোটবেলায় খুব যে বাইরে বেরিয়ে আনন্দ করেছি, এমন নয়। বন্ধু হয়েছে ঠিকই। তবে মাধ্যমিকের পর। কলেজ জীবনের কথা খুব মনে পড়ে। ওই সময় ঠাকুর দেখতে বেরোনো, বন্ধুদের সঙ্গে গল্প-আড্ডার একটা আলাদাই সরলতা ছিল। তখন হাতে ১০০ টাকা মানে ফুচকা-ভেলপুরির সঙ্গেই পুজো কাটানো।” বিয়ের আগে কাঞ্চনের সঙ্গে দীর্ঘ দিনের আলাপ শ্রীময়ীর। কথা প্রসঙ্গেই তাঁর মনে পড়ে যায় এক সঙ্গে গানের আসর জমানোর স্মৃতি। অভিনেত্রী বলেন, “খরাজ দার (খরাজ মুখোপাধ্যায়) বাড়িতে আসর বসত। ওই আড্ডায় অনেকে শিল্পীরা আসতেন। তাঁরা তখন তাবড় তাবড় তারকা। আমি তো সদ্য কাজ শুরু করেছি সেই সময়ে। এক সঙ্গে খাওয়া-দাওয়ার সঙ্গে জমত গল্প-আড্ডা। এক কথায় বলা যায় ইন্ডাস্ট্রির ‘মিট অ্যান্ড গ্রিট’! এখন সে সব কোথায়!” দেবীর কাছে শ্রীময়ীর একটাই চাওয়া, “আরও ভাল যেন কাজ করতে পারি। দেবী দুর্গা তো শুভ শক্তির শুভারম্ভ করেন, আমি চাই তাঁর আশীর্বাদে মানুষের ‘মান’ ও ‘হুঁশ’ ফিরুক।”

এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement