Trina Saha's Puja Plan

“তখন হাত ধরা মানেও চুমু খাওয়ার সমান”, পুজোর প্রেম নিয়ে অকপট তৃণা, এ বার কী কী পরিকল্পনা ‘তটিনী’র?

দেখতে দেখতে পুজো দোরগোড়ায় এসে গিয়েছে। আর মাত্র কয়েকটা দিনের অপেক্ষা। বর্তমানে ধারাবাহিকের কাজ নিয়ে ব্যস্ত তৃণা, তার ফাঁকে কি পুজো নিয়ে পরিকল্পনা করা হল অভিনেত্রীর?

Advertisement

আনন্দ উৎসব ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৮:১২
Share:

সংগৃহিত চিত্র

ছোট পর্দায় ফিরেই রীতিমত সাড়া ফেলে দিয়েছেন তৃণা সাহা। বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে এক টানা বেঙ্গল টপার হচ্ছে তাঁর এবং ইন্দ্রজিৎ বসু অভিনীত ‘পরশুরাম, আজকের নায়ক’ ধারাবাহিকটি। স্বাভাবিক ভাবেই এখন কাজের ব্যস্ততা দারুণ বেশি। সঙ্গে দায়িত্ব-ও। এ দিনও শ্যুটিংয়ের ফাঁকে ব্যস্ততার মাঝেই আনন্দবাজার ডট কমের সঙ্গে পুজো নিয়ে আড্ডা জুড়লেন অভিনেত্রী।

Advertisement

পুজোর পরিকল্পনা কী জিজ্ঞেস করতেই তৃণা বললেন, “কোনও পরিকল্পনাই করি না। ওই ক’দিন আমি বিশ্রাম করতে চাই, আরাম করতে চাই। ষষ্ঠী অবধি যা চলবে..., আমার তো মনে হয় পুজোতেও কাজ হবে। টুকটাক কাজ কিছু তো লেগেই থাকবে, বাকি আমি বিশ্রাম নেব। হয়তো একটু বেরোব। তবে এখনও তেমন কোনও পরিকল্পনা হয়নি।”

পুজোর সময় বিশ্রাম নিলেও সেটে কি এখন ভরপুর পুজোর মজা চলছে? প্রশ্ন শুনেই অভিনেত্রী বলেন, “সেটে তো আমাদের দুর্গাপুজোর সিন হয়, ওখানেই নাচ, গান হইহুল্লোড় হয়ে যায়। আর তা ছাড়া, যেহেতু প্রায় ১৫ সপ্তাহ ধরে আমরা বেঙ্গল টপার হচ্ছি, সেহেতু বেঙ্গল টপার হলেই আমরা একটা কেক কেটে ছোট করে হলেও উদ্‌যাপন করছি। আমার মনে হয় উদ্‌যাপন করলে সেটা ম্যানিফেস্ট হয়ে পরের সপ্তাহেও হবে। সেটে তাই এ সব টুকটাক চলতেই থাকে।”

Advertisement

পুজোয় ভরপুর বিশ্রামের পরিকল্পনা থাকলেও কেনাকাটাও কি এবার ‘আব্বুলিশ’? তৃণার মতে, “এখনও কেনাকাটা হয়নি, কিছুরই সময় পাইনি আসলে। পুজোর দিন আমি কান্নাকাটি করি যে ‘কী পরব, কী পরব’। কিন্তু এখন পুজোর জন্য কোনও কেনাকাটা হয় না তেমন, এ বারও এখন পর্যন্ত হয়ে ওঠেনি।”

কেনাকাটা থেকে পরিকল্পনা না হলেও, পুজোর প্রেম কিন্তু ফাঁকি পড়েনি অভিনেত্রীর জীবনে! ‘ষষ্ঠীতে শুরু দশমীতে শেষ’ পুজোর প্রেমের প্রসঙ্গ উঠতেই ‘পরশুরাম আজকের নায়ক’-এর ‘তটিনী’ বলেন, “হ্যাঁ, এ সব ছোটবেলায় হয়েছে। তবে ষষ্ঠীতে শুরু দশমীতে শেষ, অমন নয়। তবে ষষ্ঠীতে ঘোরাফেরা শুরু হতো। দেখা-সাক্ষাৎ হতো। বাড়িতে ওই সময় কেউ কিছু বলতো না। আমি যৌথ পরিবারের মেয়ে। পুজোর প্রেম মানে ফ্যামিলি ফ্রেন্ড।” সেকাল-একালের পুজোর প্রেমের অনুভূতির তফাৎ বুঝিয়ে তৃণা বলেন, “তখন তো তাকালেই মনে হতো বিশাল কিছু একটা হচ্ছে। সেই সময় হাত ধরা মানেও চুমু খেয়ে ফেলার সমান ছিল। এখন তো অনেক কিছু হয়, আগে তো অমন ছিল না। আঙুল ছুঁয়ে যাওয়া মানেই সেই সময় অনেক কিছু ছিল।” যদিও তৃণার সেই প্রেমিক কে ছিলেন সেটা মোটেই খোলসা করলেন না অভিনেত্রী, তাঁর সাফ কথা, “তার আমি নাম নেব না, কারণ বিয়ে হয়ে বাচ্চাও হয়ে গিয়েছে ওর। আমিও বিবাহিত। কিন্তু হয়েছে, ওগুলি ভাল স্মৃতি। ওই সময়টাই ভাল ছিল।''

পুজো নিয়ে কথা বলতে গিয়ে পিছু ফিরে তাকালে ছোটবেলার কোন স্মৃতির নির্যাস আজও মনে টাটকা তৃণার? অভিনেত্রী বলেন, “যখন কিছু না চেয়েই সেটা পেয়ে যাই তখন ওটার অত গুরুত্ব থাকে না। কিন্তু হঠাৎ সেটা পেলে, আলাদাই ভাল লাগে। পুজোর সময় ছোটবেলায় যে স্বাধীনতা পেতাম, ‘৪ দিনের জন্য তোমরা স্বাধীন’ এই যে একটা বিষয় থাকত, ঘুরতাম, ফিরতাম, আনন্দ করতাম, খাওয়া-দাওয়া করতাম সেই মজা অনন্য ছিল। আর এখন তো এমনই স্বাধীন। যখন যেটা ইচ্ছে হয় করি। ওই আনন্দটা হয়তো নেই এখন। কিন্তু পুজোয় এখনও ওই আলো দেখা, রাত জেগে ঘোরা, ঠাকুর দেখা, মেলায় যাওয়া, এগুলি এখনও ভাল লাগে। মেলায় তো আমরা এখনও যাই।”

এ বার দেবীর কাছে বেঙ্গল টপার ধারাবাহিকের নায়িকার একটাই জিনিস চাওয়ার। তাঁর কথায়, “আমার প্রতি বছরই একই প্রার্থনা থাকে, গোটা বছর যেন সবাই ভাল থাকেন, সুস্থ থাকেন। চারিপাশ যেন ভাল থাকে। স্বাস্থ্যই সম্পদ যেটা বলে, আমি ওটা খুব মানি। আপনার বাবা-মা যদি সুস্থ থাকেন, আপনার পরিবার যদি ভাল থাকে তাহলে দেখবেন মনও ভাল থাকে। আমরা মন দিয়ে অনেক কাজ করতে পারি। এটুকুই দেবীর থেকে চাওয়ার।”

এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement