ভো-কাট্টা! এই কয়েক দিন শহরের আকাশে যেন এই একটি শব্দই ভেসে বেড়াবে সর্ব ক্ষণ। রাত পোহালেই বিশ্বকর্মা পুজো। আর তার মানেই নীল আকাশে কেবলই রং-বেরঙের ঘুড়ির মেলা।
পাতলা কাগজ আর সরু কাঠি বা কঞ্চি। ব্যস, সামান্য এই সামগ্রী দিয়ে বানানো বস্তুটিই এখন সকলের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে।
পেটকাটি, চাঁদিয়াল, মোববাতি, বগ্গা- এই নামগুলি যেন কিশোরবেলার সঙ্গী।
আকৃতি, উপাদান ও নকশার উপর নির্ভর করেই বদলে যায় ঘুড়ির পরিচয়। বিশ্ব জুড়ে কী কী ঘুড়ি জনপ্রিয়, দেখে নিন এক নজরে।
চারকোণা ঘুড়ি: এটি একটি অতি সাধারণ অথচ জনপ্রিয় ঘুড়ি। এটি সাধারণত চারকোণা আকৃতির হয় বলেই এ হেন নাম।
ডেল্টা ঘুড়ি: এর আকৃতি অনেকটা ত্রিভুজের মতো হয়। বিশ্বকর্মা পুজোর দিন আকাশের দিকে তাকালে পেয়ে যেতেই পারেন এর দর্শন।
অক্টোপাস ঘুড়ি: নাম দিয়েই যায় চেনা! এই ঘুড়ির আকৃতি অনেকটা অক্টোপাসের মতো। দৈর্ঘ্যেও বেশ খানিকটা লম্বা। সমুদ্র সৈকতের হাওয়ার তোড়ে এই ঘুড়ি উড়ে চলে দিগন্তের পথে।
স্লেড ঘুড়ি: এই ঘুড়ি অনেকটা প্যারাশুটের মতো দেখতে।
বক্স ঘুড়ি: নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে এই ঘুড়িকে দেখতে হবহু বাক্সের মতো। তবে তুলনায় খুব কমই দেখা যায় আকাশে।
রোলার ঘুড়ি: তীব্র হাওয়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে উড়ে চলে এই রোলার ঘুড়ি।
বার্ন ডোরের ঘুড়ি: এই ঘুড়ির নকশা আয়ত ক্ষেত্রাকার। তবে প্রস্থ ও উচ্চতার অনুপাত ভিন্ন হতেই পারে। ১৮০০ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে এর উৎপত্তি।
ডায়মন্ড ঘুড়ি: এই ঘুড়ির নাম শোনেননি এমন মানুষ খুব কমই আছে। এটি দেখতেও অনেকটা হিরের মতো। ( এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ। )