পুজো আসছে। আসছে হাজারো কেনাকাটা, সাজগোজ আর ঘোরাঘুরির মরসুম। সকাল থেকে রাত অবধি এ মণ্ডপ থেকে ও মণ্ডপ টইটই, ভিড়ের গরম, আবার কখনও হঠাৎ বৃষ্টি। কেনাকাটা হোক বা ঠাকুর দেখা, এ সময়ে পোশাকে একসঙ্গে চাই আরাম, স্টাইল আর তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যাওয়ার সুবিধা। শুধু সুতি নয়, পুজোর ভিড়ে গরমে স্বস্তি দিতে পারে আরও অনেক রকমের কাপড়। চলুন জেনে নেওয়া যাক তাদের খোঁজখবর—
১. সুতির বিকল্প লিনেন: সুতির পোশাক যেমন আরামদায়ক, লিনেনও কিন্তু কম যায় না। এটি ফ্লাক্স ফাইবার থেকে তৈরি একটি প্রাকৃতিক কাপড়। সুতির মতোই লিনেন ঘাম শোষণ করে এবং বাতাস চলাচল করতে দেয়। লিনেনের পোশাক পরে দিনের বেলায় ঘোরাঘুরি বা কোনও অনুষ্ঠানে গেলে আরাম আর ফ্যাশন, দুই-ই বজায় থাকে।
২. সিল্কের বিকল্প রেয়ন: সিল্কের চমৎকার বিকল্প হতে পারে রেয়ন। এটি কিছু প্রাকৃতিক ও সিন্থেটিক তন্তু দিয়ে তৈরি। পরতে আরামদায়ক এবং পরিষ্কার করাও সহজ।
৩. হাল্কা লন: লিনেন ও সুতির মিশ্রণে তৈরি লন কাপড় হাল্কা এবং মসৃণ। এটি গরমে আরাম দেয় এবং খুব সহজে শুকিয়েও যায়। লন কাপড়ে তৈরি কামিজ, কুর্তি বা রাতের পোশাক বেশ আরামদায়ক হতে পারে।
৪. জর্জেট: মেঘলা আবহাওয়ায় বা অল্প বৃষ্টির দিনে জর্জেটের কাপড় বেশ উপযোগী। এতে খুব বেশি গরম লাগে না, আবার ভিজে গেলেও শুকোয় সহজেই।
৫. খাদি: হাতে বোনা খাদি কাপড়ও এই সময়ের জন্য বেশ আরামদায়ক। এর টেক্সচার একটু আলাদা, যা গরমে শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।
৬. হ্যান্ডলুম: ভারতের ঐতিহ্যবাহী হ্যান্ডলুম কাপড়, যেমন টাঙ্গাইল বা জামদানি, গরমের দিনে বেশ আরাম দেয়। এগুলো হাল্কা এবং বাতাস চলাচল করতে দেয়। উৎসবের শাড়ির ক্ষেত্রে এটি ভাল বিকল্প।
৭. সিল্ক-কটন মিক্স: পুজোর সন্ধ্যায় একটু ভারী কিছু পরতে চাইলে সিল্ক-কটন মিক্স বেছে নিতে পারেন। এটি দেখতে সিল্কের মতো হলেও সুতির মতো আরাম দেয়।
৮. চিকনকারি: চিকনকারির কাজ করা পোশাক গরমের জন্য দারুণ। সুতির কাপড়ের উপরে এই সূক্ষ্ম কাজ থাকে বলে দেখতেও সুন্দর লাগে, আবার বাতাস চলাচলের কারণে আরামও দেদার।
৯. ভিসকোস: এটি প্রাকৃতিক ফাইবার দিয়ে তৈরি, যা সুতির মতোই আরামদায়ক। ভিসকোস ফ্যাব্রিক মসৃণ এবং ঘাম শোষণ করে।
১০. শিফন: হালকা এবং মসৃণ হওয়ায় শিফনও গরমে আরাম দিতে পারে। এটি খুব দ্রুত শুকিয়ে যায়। তাই বৃষ্টির দিনের জন্য এটিও বেশ উপযোগী।
পুজোর দিনগুলিতে সাজসজ্জা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনই জরুরি আরামও। পোশাক যদি তৈরি হয় আরামদায়ক কাপড়ে, তবে আর চিন্তা কীসের! এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।